১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:০৬
শিরোনাম:

ইসির বিরুদ্ধে ৪২ নাগরিকের অভিযোগ ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন : সিইসি নূরুল হুদা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, প্রশিক্ষণ ব্যয়ে আর্থিক অনিয়মের ‘কোনো সুযোগ নেই’। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’। নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যাবহারের অভিযোগও ‘অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।

তিনি বলেন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে অসদাচরণের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাও অসত্য। ২০১৮ সালের নির্বাচন বিদেশি কূটনীতিকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তোলেননি। গণমাধ্যমও কোনো অভিযোগ করেনি। বরং অনিয়মের কারণে বহু স্থানীয় নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতি পদে ২-৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোট পড়েছে ৬০ থেকে ৮০ ভাগ। নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা চলে গেছে এ খবর ভিত্তিহীন।

নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করতেই ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। ইভিএম ক্রয়ের সাথে সরাসরি নির্বাচন কমিশন যুক্ত নয়।. সুতরাং বিবৃতিতে যা দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য।

বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইিসি আরও বলেন, জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে- তাই বিষয়টি স্পষ্ট করতে এ সংবাদ সম্মেলন। ইসিকে দায়ী করে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা অনভিপ্রেত ও আদৌ গ্রহণযোগ্য নেয়।

লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো প্রশ্ন নেননি সিইসি নূরুল হুদা। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীও ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না।