১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৫৮
শিরোনাম:

এক হাজার টাকার জন্য ধর্ষণ মামলা, ২৫ হাজারে আপস

আসামির সঙ্গে আপস করায় ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আসামি আলী হোসেনের আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত।

আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মজনু মোল্লা।আদালত আদেশে বলেছেন, বিদ্যমান আইনে এ ধরনের গুরুতর অপরাধের মামলা আপসের সুযোগ নেই। তাই আপসের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হলো। এছাড়া উচ্চ আদালতে জামিন আবেদনের সঙ্গে বাদীর দাখিল করা অঙ্গীকারনামার সত্যতা পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম।

গেল ২২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সারুটিয়ায় ভাড়া বাসায় রাতে ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী নারী।

বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলমান। এ অবস্থায় গেল ৮ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় আপস করে অঙ্গীকারনামা দেন বাদী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাসা পালটানোর সময় আমার স্বামীকে এক হাজার টাকা ধার দেন আসামি। সেই টাকা নেয়ার জন্য আসামি বিভিন্ন সময়ে বাসায় আসতো। আমার স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তিনি।

অঙ্গীকারনামায় তিনি বলেন, আলী হোসেন পাওনা এক হাজার টাকার জন্য ভাড়াটিয়া বাসায় আসলে আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়, যার সূত্রে তার বিরুদ্ধে স্বামীর কথায় বাধ্য হয়ে মিথ্যা মামলা করি। পরে স্থানীয় মাতব্বর, ব্যক্তিবর্গ এবং আইনজীবীর পরামর্শে মামলাটি আপস মীমাংসা করি। এই আপসের কারণে আসামি পক্ষ আমাকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করে। আসামির বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। অঙ্গীকারনামামূলে মামলাটি নিষ্পত্তি হলে আমার কোনও আপত্তি থাকবে না। সময়টিভি