৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৫৮
শিরোনাম:

সুদ হলো নৈতিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারন

মাও: রেজাউল করীম,,

মহান আল্লাহ তায়ালা সুদ সম্পর্কে তার কালামে হাকীমে ইরশাদ করেন,”আল্লাহ সুদ নিশ্চিন্হ করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন;বস্তুত আল্লাহ অকৃতঙ্গ পাপাচারীদের ভালোবাসেন না”(বাকারা ২৭৬)। আল্লাহ তায়ালা অন্যএ ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগন!আল্লাহকে ভয় করো এবং যদি তোমরা মু’মিন হও,তাহলে অবশিষ্ট সুদ বর্জন করো”(বাকারা ২৭৮)। সুদ কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত।

 

সুদ বলতে এমন অতিরিক্ত প্রাপ্তি যা কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়া ক্রেতা বিক্রেতা যে কোনো একজনের জন্য শর্তারোপের মাধ্যমে উসুল করা হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা তার কিতাবে এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সুন্নাহ সুদ কে হারাম ঘোষনা করেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,”আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদ কে হারাম করেছে”(বাকারা ২৭৫)। সুদের পরিনাম সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,সুদ গ্রহিতা,দাতা,সাক্ষী ও লেখকের উপর লা’নত করেছেন।এবং তিনি বলেন,এরা সকলেই সমান”(বুখারি,মুসলিম, তিরমিজি) জানা থাকা দরকার সুদ কাউকে সাবলম্বী এবং সম্পদ বৃদ্ধি করেনা বরং তার সম্পদ ধ্বংশ হওয়ার কারণ হয়।

 

সুদি কারবার আজ সমাজকে ধ্বংস করেছে।এর দ্বারা এক শ্রেণীর লোক লাভবান হচ্চে আর আরেক শ্রেণীর লোক ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। যারা সুদ খায় তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা কালামে হাকীমে ভয়াবহ পরিণাম ইরশাদ করেন,”যারা সুদ ভক্ষন করে,তারা কিয়ামতে দিন শয়তান স্পর্শে মোহাভিভূত ব্যক্তির অনুরুপ দন্ডায়মান হবে;এর কারণ,তারা বলে,’ব্যবসা সুদের অনুরুপ বৈ তো কিছু নয়।’অথচ আল্লাহ তায়ালা ব্যবসা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন; অত:পর যার নিকট তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ সমাগত হয়, ফলে সে নিবৃত্ত হয়; সুতরাং যা অতীত হয়েছে তা তারই; আর তার কৃতকর্ম আল্লাহর কাছে সমর্পিত রয়েছে ;এবং যারা পুনরায় সুদ গ্রহন করবে তারাই হচ্ছে জাহান্নমে অধিবাসী,সেখানেই তারা চিরকাল অবস্হান করবে।”(বাকারা ২৭৫)

 

অত:এব আসুন! সকলেই মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম অনুসরণ করে হালাল ভাবে উপার্জন করি এবং সুদ কে পরিহার করি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন। (আমিন )