১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:৫৪
শিরোনাম:

‘আল্লাহর দলের’ সেকেন্ড ইন কমান্ড ও চার নির্বাহীকে আটক

রাজধানীর তেজগাঁও ও মোহাম্মদপুর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আল্লাহর দলের’ সেকেন্ড ইন কমান্ড ও চার নির্বাহীকে আটক করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

আটক ৫জন হলেন- শেখ কামাল হোসেন (৩৫), সোহেল রানা (৪০), রবি আহমেদ পাপ্পু (২৮), খালেকুজ্জামান (৩৭) ও মনিরুজ্জামান ওরফে মিলন (৪২)।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এটিইউ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে তেজগাঁওয়ের ফার্মগেট তেজতুরী বাজার ও মোহাম্মদপুরের কাটাসুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন, ভিসা কার্ড ও কারাবন্দিদের টাকা দেওয়ার স্লিপ ও নগদ ৩৭ হাজার ৬২ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

এটিইউ’র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি- মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) ওয়াহিদা পারভীন জানান, প্রথমে ফার্মগেট তেজতুরী বাজার এলকার প্যাসিফিক হোমস টাওয়ারের নিচতলা থেকে আল্লাহর দলের শেখ কামাল হোসেন ও সোহেল রানাকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে কামাল আল্লাহর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড (সহ-অধিনায়ক) ও সোহেল রানা সংগঠনের মামলা ও কারা দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী মোহাম্মদপুর কাটাসুর এলাকার শেরে-বাংলা রোডে অভিযান চালিয়ে ওই জঙ্গি সংগঠনের গাজীপুর অঞ্চলের নায়ক রবি আহমেদ পাপ্পু, দাওয়াহ্ দপ্তরের প্রধান খালেকুজ্জামান ও মামলা ও কারা দপ্তরের সহযোগী মনিরুজ্জামানকে আটক করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কামাল হোসেন ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে আল্লাহর দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি ২০০৪ সালে সংগঠনের প্রধান মতিন মেহেদীর কাছে শপথ গ্রহণ করে আল্লাহর দলে যোগদান করেন। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খুলনা জেলায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলায় এবং ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রের বিভিন্ন পদে দায়িত্বে ছিলেন।

২০০০ সালে মতিন মেহেদীর মাধ্যমে সংগঠনে যোগ দেওয়া খালেকুজ্জামান ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাবনা জেলায় এবং ২০১৭ সাল থেকে ঢাকা জেলার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি কেন্দ্রের দাওয়াহ্ দপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

আটক মনিরুজ্জামান ১৯৯৯ সাল থেকে মতিন মেহেদীর একান্ত সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। সোহেল রানা ২০১৮ সালে আল্লাহর দলে যোগদান করেন। তারা আল্লাহর দলের গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে মামলা বিষয়াবলী দেখাশোনা, কারাবন্দি ও তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতায় নিয়োজিত ছিলেন।

আটক রবি আহাম্মেদ পাপ্পু ২০১৮ সালে আল্লাহর দলে যোগদান করেন। তিনি ২০১৯ সাল থেকে গাজীপুর জেলায় বিভাগীয় নায়েক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে চক্রান্তমূলক কার্যক্রমে লিপ্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা (নং-১৪) দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এএসপি ওয়াহিদা পারভীন।