১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:২৪
শিরোনাম:

৭ বছর পর পাবনার যুবলীগ নেতা হত্যারহস্য উদঘাটন পিবিআই’র

দীর্ঘ ৭ বছর পর পাবনার যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লাভলু হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাকে আটক করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পাবনা ইউনিট। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা গ্রেপ্তার হলেও সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

পিবিআই, পাবনার পুলিশ সুপার মো. ফজলে এলাহি জানান, পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা লাভলুকে ২০১৪ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরে লালন শাহ সেতুর টোল প্লাজার কাছে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ছিনতাইকারী রাস্তায় গতিরোধ করে কুপিয়ে হত্যা করে মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ পত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দিলে বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের মুল হোতা পলাশ মিয়াকে (৩৪) রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার কালারিপারা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

ফজলে এলাহি আরও জানান, ‘জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ জানায়, নিহত লাভলু ঘটনার দিন রাতে পাকশী লালন শাহ সেতুর টোল পয়েন্টের কাছে পৌঁছালে পলাশ ও তার দলবল রশি ফেলে তাদের গতিরোধ করে তাদের মারধর করে এবং ছুরিকাঘাত করে। এতে লাভলুর মৃত্যু হলেও বেঁচে যান তার সঙ্গে থাকা মোসতাকিন মনোয়ার।’

এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পিবিআই তদন্ত করে পলাশের নাম জানতে পারে। পরে পলাশকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন করা হয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম জানা যায় বলেও জানান তিনি ।

জিজ্ঞসাবাদ শেষে হত্যাকাণ্ডের মুল হোতা পলাশ মিয়াকে মঙ্গলবার আদালতের মাধমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা।