১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:৫৩
শিরোনাম:

শিক্ষার্থীরা চাইছেন পদত্যাগ, প্রক্টর বললেন ‘উপস্থাপনের ভুল’

ক্যাম্পাসের বাইরের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমি নেব না’- শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান এমন বক্তব্য দিয়েছেন অভিযোগ করে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে পূর্বের তিন দফা দাবির সঙ্গে প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিটি যুক্ত করার কথা সাংবাদিকদের জানান শিক্ষার্থীরা। বলেন, ‘প্রক্টরকে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তার পদত্যাগ করতে হবে।’

গতকাল শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া বাজার এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এমন বক্তব্য দেন। একই সুরে উপচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামও সাংবাদিকদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এ বিষয়ে জানতে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এমন কোনো বক্তব্য দেননি বলে জানান। বলেন, ‘আমি সাংবাদিকদের সামনে এমন কোনো বক্তব্য দিইনি। তবে, আমরা তো আনঅফিসিয়ালি অনেক কথাই বলেছি। আমি বলেছি, আমরা গেটের ওইপাশে গেলে তো কিছু করতে পারব না। আমাকে তো বাইরের এলাকার কেউ প্রক্টর হিসেবে মানবে না। তাই আমি বলেছি, ওপাশের পরিস্থিতি তো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা চেষ্টা করেছি গেটের ভিতরে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে।’ কিন্তু আমার এই কথাকে কেউ কেউ ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমি যদি শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব না-ই নিতাম তাহলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ওই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতাম না। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতাম না।’

প্রক্টর বলেন, গতকালের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে। মামলার বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, উদ্ধুদ্ধ পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা চলছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, সিন্ডিকেট সভা শেষে বিকেলে শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসির সাথে বৈঠকে বসবেন উপাচার্য। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়া হবে কি হবে না- এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ফিরোজ উল হাসান।

কিন্তু সেখানে হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসলে হলে প্রবেশ করা শিক্ষার্থীদের কি হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করব যাতে তারা হল ছেড়ে দেয়। আমরা আশা করব, তারা রাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবে।’

ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকা শিক্ষার্থীদের জন্য এখন নিরাপদ না। তাহলে হলে উঠা শিক্ষার্থীরা বের হয়ে কোথায় যাবে- এমন প্রশ্নে সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ভালো সমাধান আসবে বলেই মনে করেন তিনি। বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্তে যাই নি। আগে আলোচনা হোক, দেখা যাক সেখানে কি সিদ্ধান্ত আসে। তারপর সবার জন্য যেটা ভালো, আমরা সেটাই করব।’

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করছে পুলিশ, তবে শিক্ষার্থীরা পুলিশের প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন।