১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৪৭
শিরোনাম:

ইসলামি শরিয়া অনুযায়ী ব্যবসার কথা বলে প্রতারণা, অবশেষে কারাগারে

কুড়িগ্রামে অর্থ আত্মসাতের মামলায় আল-হামীম পাবলিক লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির সাবেক তিন কর্মকর্তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক ফারহানা সুলতানা এ আদেশ দেন।

জামিন না পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন মাওলানা আনিছুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম ও মাওলানা আছয়াদুর রহমান আপেল। গত ২৮ জানুয়ারি কোম্পানির কর্মী ওমর ফারুক আল-হামীম কোম্পানির এ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আকর্ষণীয় মুনাফা দেওয়ার কথা বলে কোম্পানির নামে গ্রাহকের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা আদায় করা হয়। পরে মেয়াদ শেষে বিভিন্ন স্কিমে সদস্যদের জমা করা টাকার লভ্যাংশ না দিয়ে কোম্পানির কর্মকর্তারা তা আত্মসাৎ করেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন নেন ওই কর্মকর্তারা। আজ রোববার মামলার ধার্য তারিখে আসামিরা আদালতে উপস্থিত হলে তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিরা লাখ লাখ টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এ কারণে অনেকের সংসারও ভেঙেছে। অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। আদালতে আজ আসামিদের জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেন।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার ৩ হাজার গ্রাহকের ৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা আল-হামীম পাবলিক লিমিটেডের এমডি এনামুল কবীর কহিনুর ও তার সহযোগীরা। এই কোম্পানি কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় চার ক্যাটাগরিতে সদস্য সংগ্রহ করেন। কাগজপত্রে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক ব্যবসা পরিচালনা করার কথা বলা হলেও দ্বিগুণ লাভের কথা বলে প্রলুব্ধ করা হয় সাধারণ মানুষকে। কোম্পানি হাওয়া হয়ে যাওয়ার পরও সাবেক কর্মকর্তারা নানা কৌশলে ভুঁইফোড় কোম্পানি খুলে প্রতারণা অব্যাহত রাখেন।

এ বিষয়ে অভিযোগ উঠলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম গত ৬ জানুয়ারি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এবং সমাজসেবা কর্মকর্তাকে ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।