১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:১৪
শিরোনাম:

জামালপুরের নারী কেলেঙ্কারি আলোচিত : সেই ডিসির বেতন কমিয়ে আর্ধেক করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

জামালপুরের নারী কেলেঙ্কারি আলোচিত সাবেক জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের বেতন কমিয়ে আর্ধেক করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপসচিব পদে বহাল থাকলেও নারী অফিস সহকারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অপরাধে সিনিয়র সহকারী সচিবের সমান বেতন পেতে হচ্ছে তাকে।

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-এর বিধি ৪(৩) (ক) মোতাবেক তার এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আহমেদ কবীরের পরিবার ও সন্তানদের সামাজিক অবস্থার কথা বিবেচনায় তাকে চাকরিচ্যুত না করে বেতন অর্ধেকে নামিয়ে আনার শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অপরাধ অনুযায়ী আহমেদ কবীরের চাকরি চলে যাওয়ার কথা। তবে স্ত্রী সন্তানের কথা ভেবে তাঁকে চাকরিতে রেখে বেতন গ্রেড কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আরো বলেন, গুরুদণ্ডের সবচেয়ে কম শাস্তি দেওয়া হলেও এই কর্মকর্তার ক্যারিয়ার শেষ ধরতে পারেন।

কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-তে গুরুদণ্ডের চার শাস্তির মধ্যে রয়েছে নিম্ন পদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ এবং বরখাস্তকরণ।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, নিম্ন পদে নামিয়ে দেওয়ার শাস্তি দেওয়া হলে আহমেদ কবীর বিদ্যমান বেতনই পেতেন। আর নিম্ন বেতন গ্রেডের শাস্তি দেওয়ায় তাঁর বেতন অর্ধেক কমে গেল, তবে তিনি পদে বহাল থাকলেন।

জানা গেছে, কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসেবে শাস্তির যে বিধান রাখা হয়েছে এগুলো হচ্ছে: নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ, চাকরি থেকে বরখাস্তকরণ। সবচেয়ে কম দণ্ডের শাস্তিটি হচ্ছে নিম্ন পদ বা নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ। সেটিই দেওয়া হয়েছে আহমেদ কবীরকে।

আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাকে শাস্তি দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-এর বিধি ৪(৩)(ক) মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসেবে তিন বছরের জন্য নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করা হলো। আহমেদ কবীর উপসচিব হিসাবে বর্তমানে পঞ্চম গ্রেডে বেতন পান।

শাস্তির কারণে এখন থেকে তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ষষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন। পঞ্চম গ্রেডে তার মূল বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এখন তিনি মূল বেতন পাবেন ৩৫ হাজার টাকা। সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অন্যান্য ভাতা-সুবিধা পাবেন।

জামালপুরের ডিসি থাকাকালে অফিসের অফিস সহায়ক সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামে একজন নারীর সঙ্গে আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েন। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিষয়টি জানাজানির পর ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখে তাকে ডিসি পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। সময়টিভি, কালের কণ্ঠ