১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:৩৩
শিরোনাম:

প্রেমিকাকে দেখেই পলাতক প্রেমিক, পাহারা দিচ্ছেন বাবা

প্রেমিকা ময়না বিয়ের দাবিতে বাড়িতে আসতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে প্রেমিক আকাশ। আর ময়না খাতুন (১৬) আত্মহত্যা করে পুরো পরিবারকে ফাঁসিয়ে দিতে পারে সেই ভয়ে এখন ছেলের প্রেমিকাকে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন আকাশের বাবা রাজমিস্ত্রি জহুরুল ইসলাম।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান হাওড়াপাড়া এলাকায় ঘটেছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়না খাতুনকে বাড়ির সামনে একটি গাছের নিচে পাহারা দিচ্ছেন তিনি।

বিয়ের দাবিতে বাওট গ্রামের দিনমজুর আব্দুল বারির মেয়ে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ময়না খাতুন তার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

ময়না খাতুন বলেন, আকাশের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ৬ মাস। সে মোবাইল ফোনে সব সময় আমার আপু, মা ও বাবার সাথে কথা বলে। ১১ দিন আগে আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কও করে। এ সময় পাড়ার লোকজন আমাদের ধরে ফেলে। গ্রামবাসী এবং পরিবারকে বিয়ের সম্মতি দিয়ে আকাশ চলে আসে। এরপর থেকে আকাশ তার ফোন বন্ধ রেখেছে। তাই আমি তার বাড়িতে চলে এসেছি। আকাশের সাথে আমার বিয়ে না হলে আত্মাহত্যা ছাড়া আমার কোনো উপায় থাকবে না।

এদিকে আকাশের বাবা জহুরুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে আমার বাড়িতে আসতে দেখেই সে (আকাশ) পালিয়ে গেছে। আজ তিনদিন তার কোনো খোঁজ নেই। আমার ছেলেকে হাতের কাছে পেলে এই মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়ে আমি বাঁচতাম। পলাতক ছেলেকে খুঁজে পেতে সকলের সহযোগিতা চান তিনি।

স্থানীয় মাতব্বর শহিদুল ইসলাম বলেন, ময়না খাতুন ও আকাশকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেছিল প্রতিবেশীরা। আমরা উভয়ের পরিবারের কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে এক জায়গায় বসে সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যার্থ হয়েছি।

ছাতিয়ান গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান জানান, দুই দিন ধরে মেয়েটি ছেলের বাড়িতে অনশন করছে। এসব ঘটনার কারণে আজ সামাজিক অবক্ষয় চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিষয়টি নিয়ে খুব শিগগিরই বসা হবে।

গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান বলেন, বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বর ও জনপ্রতিনিধিদের কাজ। মেম্বার চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সুরাহা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও সমাধান না হলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।