১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:০২
শিরোনাম:

আমি শিক্ষামন্ত্রীর ষড়যন্ত্র ও রাজনীতির শিকার: উপাচার্য কলিমুল্লাহ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) রিপোর্টের দায় শিক্ষামন্ত্রীর।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমাদের দেশে দুর্নীতি নিয়ে যে সমস্যা সেটা হচ্ছে ধামাচাপা দেওয়ার একটা সংস্কৃতি আছে। শিক্ষামন্ত্রীর অফিস থেকে কয়েক পৃষ্ঠার খণ্ডিত অংশ নিয়ে লিক করা হয়েছে। এটা ন্যাক্কারজনক রাজনীতির একটা অপকৌশল। বাংলাদেশ প্রতিদিন

এর আগে ড. কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নিতির অভিযোগের তদন্ত করে ইউজিসি। মঙ্গলবার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠায় কমিশন।

দীর্ঘদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিতি, প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত ও একজন ব্যক্তি একাধিক পদ ও প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সূত্র মতে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি একনেক সভায় ৯৭ দশমিক ৫০ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ছাত্রীদের আবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নামে শেখ হাসিনা হল এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বামীর নামে ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের জন্য একটি স্বতন্ত্র ভবন নির্মাণের জন্য ৭৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অভিযোগ ওঠে, উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। উন্নয়ন কাজ তদারকিতে নির্বাচিত প্রকৌশলীকে দ্বিতীয় পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভবনের মূল নকশা পরিবর্তন করে অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ ভবন নির্মাণের চেষ্টা, নির্মান ব্যায় দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো, মূল ডিপিপিতে পরামর্শক ফি না থাকলেও এ খাতে ৪০ লাখ টাকা ব্যায় এবং অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কার্যাদেশ প্রদান।