১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৪৫
শিরোনাম:

ইয়াবার রুট ধরেই দেশে আসছে মরণ নেশা আইস

মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফের দুটি এলাকা, জেলার উখিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি যেখানে মিয়ানমার সীমান্তে মিলেছে সেখান দিয়ে আসছে মরণ নেশা আইস।

অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়ানো এই মাদকদ্রব্য দেশে আনছেন কক্সবাজারের ইয়াবা কারবারিরা।

গত ৩ মার্চ রাতে জেলার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকা থেকে দুই কেজি আইসসহ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ ছাড়া গত দেড় বছরে ঢাকায় ছোট আকারের আরো চারটি চালান জব্দ করেছে ডিএনসি ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

এসব ঘটনা তদন্তের সূত্রে এবং অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে ইয়াবার রুট হয়ে আইস দেশে ঢুকছে। দাম বেশি হওয়ার কারণে দেশে আইসের বড় বাজার না থাকায় বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে এটি মূলত অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, আমেরিকায় পাচার করাই কারবারিদের প্রথম লক্ষ্য। যদিও মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশেও অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরির চেষ্টা করছে পাচারকারী ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত চক্র। তাই আফিম, হেরোইন, ফেনসিডিল ও ইয়াবার পরে দেশে আইস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়া থেকে এই মাদকদ্রব্যের ছোট চালান এবং সেটা তৈরির প্রযুক্তি আনা হচ্ছে। জানা গেছে, রাজধানীর কিছু বিত্তশালী মাদকসেবী এরই মধ্যে আইস গ্রহণ শুরু করেছে, যা আনা হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গোপন অনলাইন যোগাযোগের (ডার্কনেট) মাধ্যমে অর্ডার দিয়ে। মিয়ানমার থেকে বড় চালান বা কুরিয়ারের মাধ্যমে আনা চালানের মূল হোতাদের এখনো ধরা যায়নি।

জানতে চাইলে ডিএনসির মহাপরিচালক আহসানুল জব্বার মোহাম্মদ বলেন, ‘টেকনাফে আমরা এ যাবৎকালের যে বড় চালানটি জব্দ করেছি সেই আইসগুলো থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এটির গন্তব্য বাংলাদেশের কোথায় ছিল বা এটিকে কিভাবে তারা (কারবারিরা) ব্যবহার করত, তা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি মিয়ানমারকে কিভাবে অবহিত করা যায়, সেটা আমরা দেখছি।’ তিনি আরো বলেন, চক্রটিকে ধরার জন্য তাঁদের টিমের সদস্যরা প্রায় ছয় মাস ধরে কাজ করেন। এক পর্যায়ে চালান জব্দ করা হয়, কিন্তু জড়িত মূল ব্যক্তিকে ধরা যায়নি৷ সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব