১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:১৬
শিরোনাম:

এস কে সুর পিকে হালদারের সব অপকর্মের শেল্টার দিতো, শাহ আলম প্রতিমাসে নিতেন দুই লাখ টাকা

পি কে হালদারের সহযোগী ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হক আদালতে তার স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীতে এসব তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তিনি বলেন, রাশেদুল বলেছেন, এসকে সুর চৌধুরী ছিলেন পিকে হালদারের সবচেয়ে ঘনিষ্টজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর পদে থেকে তিনিই পিকে হালদারের সব অপকর্ম ঢেকে রাখতেন এবং তাকে আশ্রয় দিতেন। আর বর্তমান নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম প্রতিমাসে নিতেন দুই লাখ টাকা করে।

খুরশিদ আলম বলেন, পিপলস লিজিংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী, সুকুমার মৃধা, অবান্তিকা বড়ালসহ বেশ কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। অবান্তিকা বলেছেন, পিকে হালদার তাকে লোভ দেখিয়ে ব্যবহার করতেন। তার নামে জমি কিনতো, ব্যাংক হিসাব খুলতো। অবান্তিকা যা বলেছে এটা ভয়ঙ্কর স্বীকারোক্তি বলে আমি মনে করি। একজন উচ্চ শিক্ষিত মহিলাকে ব্যবহার করে অপকর্ম করেছে। এমনকি তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দুদক আইনজীবী বলেন, সবার জবানবন্দী থেকে স্পষ্ট যে, মাস্টার মাইন্ড হলো পিকে হালদার। সে নিজেই বিভিন্ন জনকে প্রলোভন দেখিয়ে ব্যবহার করতো। আশা করছি দ্রুত চার্জশিট দেওয়া সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, এই জবানবন্দীর পর বিএফআইইউকে (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) দুদক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। এসকে সুর ও শাহ আলমের লেনদেন গুলো মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি। এই দুইজনকে এখনো গ্রেপ্তার না করায় সম্প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন উচ্চ আদালতও।