৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:২৭
শিরোনাম:

কয়েক মিনিটেই চুরি করতে দক্ষ এ চক্র

চুরির আগে রেকি করে একজন। টার্গেট নির্ধারণের পর অংশ নেয় আরও পাঁচ থেকে ছয়জন। তাদের মধ্যে চক্রের সবচেয়ে দক্ষ সদস্যটি চুরি সম্পাদন করে। বাকিরা থাকে পাহারায়। রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি জেলায় সক্রিয় সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ১৫ থেকে ২০ জনের দল। চক্রের কয়েকজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, কোনো রকম ঝুঁকি ছাড়াই চুরি করতে সক্ষম চক্রটি।

রাজধানীর তুরাগ এলাকার চলতি বছরের ৩ জানুয়ারির একটি বাজারের সিসি ক্যামেরার চিত্রে মোবাইল ফোনের দোকানটির আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে দুজনকে। কিছুক্ষণ পর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরেকজন। কিছুটা দূরে অবস্থান আরো কয়েকজনের। সবার দৃষ্টিই দোকানটির দিকে। মিনিট পাঁচেক পর দোকান খুলে একটি ব্যাগ নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন মালিক। ততক্ষণে চক্রের একজন অবস্থান নেয় দোকানটির সামনে। মালিক বের হন আরেকটির সাটার খুলতে। এ সুযোগে দোকানে ঢুকে ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় এক ব্যক্তি। একে একে জায়গাটি ত্যাগ করেন চক্রের সবাই। পরে জানা যায় ব্যাগটিতে ছিল ৬১টি মোবাইল ফোন ও নগদ একাত্তর হাজার টাকা।

মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি চোর চক্রের সন্ধান পায়। গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। চক্রটি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সক্রিয়। কোনো রকম ঝুঁকি ছাড়াই মাত্র কয়েক মিনিটে চুরি করতে দক্ষ তারা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম সময় সংবাদকে বলেন, চক্রটির মূলশক্তি তাদের বুদ্ধি। একজন দোকান আরেকজন মালিক ও তার ব্যাগটি ফলো করে এভাবে তারা কাজটি সারে।

একটি চুরির কাজে রেকি থেকে শুরু করে টার্গেট হাতিয়ে নিতে কমপক্ষে ৬ সদস্যের টিম গঠন করে চক্রটি। ভাগ করা থাকে দায়িত্বও।