২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:৩৩
শিরোনাম:

আগামী সোম ও মঙ্গলবার বিক্ষোভ সমাবেশ-মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

হেফাজতে ইসলামের সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে সমর্থন নয় তবে যৌক্তিক বলে মনে করে দলটি। শনিবার বিকালে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার দিবসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে মানুষ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ আগামী ২৯ মার্চ ঢাকাসহ সকল মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল এবং ৩০ মার্চ জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল অথবা সমাবেশের কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা যেটা প্রতিবাদ করছি, বিক্ষোভ মিছিল করছি সেটা হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের দিনে মানুষকে হত্যা করার প্রতিবাদে। খুব স্পেসিফিক বলছি যে, প্রত্যেকটা সংগঠনের, প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার আছে প্রতিবাদ করা বা তার মত প্রকাশ করবার। সেই মত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে যখন গুলি করা হয়েছে আমরা সেইটার প্রতিবাদ করছি, আমরা এর বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’

তিনি বলেন, আমাদের একটি জিনিস মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যেকটি নাগরিকের ন্যায় সঙ্গত সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে ভিন্নমত পোষন করবার। সেখানে তারা যদি কোনো কর্মসূচি দেয় বা হরতাল আহবান করে সেটা যৌক্তিক তো বটেই। তবে একই সঙ্গে সরকার যদি তাকে প্রতিহত করবার বা বন্ধ করবার অগণতান্ত্রিক অথবা হঠকারী হুমকি দেয়- সেটা হবে একেবারেই হঠকারী ব্যবস্থা। সরকারের কাছে থেকে এই ধরনের ব্যবস্থা কেউ আশা করতে পারে না। যদি এখানে কোনো অবাঞ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশে নির্বিচার লাঠিচার্জ, গুলিবর্ষন এবং একই সঙ্গে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর আক্রমনের প্রতিবাদে যে রক্ত ঝরেছে বায়তুল মোকাররম, চট্টগ্রাম ও ব্রাক্ষনবাড়ীয়ায়-এটা নিসন্দেহে ৫০ বছরের বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম একটি কলংকজনক অধ্যায়। এটা নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা এই হত্যাকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ ইতিমধ্যে জানিয়েছি।