২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:২৪
শিরোনাম:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পুলিশের সঙ্গে হেফাজত কর্মীদের সংঘর্ষে নিহত ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আহত অবস্থায় নিয়ে আসার পর গুলিবিদ্ধ দুজন মারা গেছেন। এছাড়া শনিবার গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরুল আমিন নামের আরও একজন মারা গেছেন।

নিহতরা হলেন-সরাইল উপজেলা সুফি আলীর ছেলে আল আমিন (১৯) ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরেক যুবক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন।

এনিয়ে শুক্রবার (২৬ মার্চ) থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৯ জনে দাঁড়াল। তবে হেফাজত ইসলামের দাবি চারজন মারা গেছেন।

দুপুরের দিকে বিক্ষোভকারিরা হাসপাতাল রোডে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে ঢুকে হামলা করে। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিকে মারধোর করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন জানান, অতর্কিত ভাবে প্রেসক্লাবে হামলা করা হয়। হামলাকারিরা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির উপর আক্রমণ করে।

পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাথা ৬টি সেলাই দেওয়া হয়। এছাড়াও সকালে শহরের দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড মোড়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আমাদের নতুন সময় ও আমাদের সময় ডটকমের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মোঃ রাফি’র উপর হামলা করা হয়। বিক্ষোভকারিরা তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মারধোর করে।

এদিকে, শহরের জেলরোডে উপজেলা ভূমি অফিসে ফুলবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের বাসভবনে, ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল স্কুলে ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে, পৌর সভায়, জেলা পরিষদ, দক্ষিণ মৌড়াইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের বাড়িতে, সরকারপাড়ায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের বাড়িতে এসময় তারা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল স্কুলে ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে, পৌর সভায়, জেলা পরিষদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের বাড়িতে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ব্যাংক এশিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও আনন্দময়ী কালি বাড়িতে হামলা করে।

এসময় বিক্ষোভকারিরা প্রধান প্রধান সড়কে আগুন জ্বালিয়ে, গাছ ও খুটি ফেলে অবরোধ করে। পুলিশের সাথে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার শেল ছুড়ে। এসব গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত সহ ১৫জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা হচ্ছে।

জেলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ‘আজকের পরিস্থিতি আপনারা নিজেরাই দেখতেছেন। জনগণের জানমালের রক্ষায় আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এসব তান্ডব চালাচ্ছে জামায়াত, শিবির ও বিএনপি’। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদa