১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:৩৮
শিরোনাম:

রাজধানীতে কেয়ারটেকারের সহায়তায় ঘটছে ডাকাতি

ছিলেন বাড়ির কেয়ারটেকার। কৌশলে ১৮ থেকে ২০ জনের সংঘবদ্ধ দলের সহযোগিতায় গৃহকর্তা ও সন্তানদের অস্ত্রের মুখে জিম্মির পর সর্বস্ব লুট করে পালায়। রাজধানীতে পরিচিত, নিজস্ব কিংবা বাড়ির কাজের সহযোগীদের হাতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় চুরি ও ডাকাতির ঘটনা। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গৃহকর্মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঠিক তথ্য ও পরিচয়পত্র সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা বাসায় ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে, পুলিশ বলছে, বাসাবাড়িতে চুরি-ডাকাতি নিয়ন্ত্রণে সচেতন হতে হবে বাসিন্দাদের।

আনসার আলী। বাড়ি নির্মাণের সময় থেকে শুরু করে ছিলেন শেষ পর্যন্ত কেয়ারটেকার হিসেবে। একদিন সুযোগ বুঝে ৮ তলা ভবনে একে একে ১৮ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্তদের সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করেন ডাকাতির উদ্দেশ্যে। ভবনের নাড়ি নক্ষত্র জানা এই আনসার আলী তার সহযোগীদের নিয়ে কেটে ফেলেন সিসি ক্যামেরার সংযোগের তার।

পুরে উত্তর কাফরুলের বাসিন্দা এক ঠিকাদারের স্ত্রী সন্তানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পর লুটে নেয় সর্বস্ব।

ভুক্তভোগী জানান, দরজা খোলার সঙ্গে ১০-১২ জন ছেলে একটা অস্ত্র ধরছে। এরপর মুখে বেঁধে সব নিয়ে যায়।

এমন সব চুরি-ডাকাতির ঘটনায়, কেয়ারটেকার, গাড়িচালক, গৃহকর্মী কিংবা দারোয়ানের সরাসরি জড়িত থাকার অনেক উদাহরণই রয়েছে রাজধানীতে। কখনও কখনও এদের আক্রোশের কাছে জীবনও দিতে হয় সাধারণ মানুষের। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এদের বেশির ভাগ গ্রেফতারও হচ্ছে।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, কোন জায়গায় ছুরি-ছিনতাই করতে হলে অবশ্যই তার প্রবেশদ্বার ও বের হওয়ার পথ জানা থাকতে হবে। অপরাধীরা সেটা নিশ্চিত করে ঘটনাগুলো করে থাকে। এ জন্য দারোয়ান ও বুয়াদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখতে হবে। একই সঙ্গে বাসার অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা রাখতে হবে।

ডিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কোনো ঘাটতি নেই। চুরি-ডাকাতির ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের সচেতন হতে হবে নিজেদেরই।

রাজধানীতে, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষায়িত বেশ কয়েকটি দল মাঠে কাজ করেছে বলেও জানান ডিএমপির কর্মকর্তারা।