১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:২৬
শিরোনাম:

শিশুবক্তা রফিকুলকে ডিজিটাল আইনের মামলায় কারাগারে

গ্রেপ্তারের পর ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর ব্যবহৃত মোবাইলফোনে আপত্তিকর (পর্নো) ভিডিও পাওয়া গেছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের মতো তিনিও বিয়ে নিয়ে দিয়েছেন অস্পষ্ট তথ্য। ২০১৯ সালের শেষের দিকে এক আত্মীয়কে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু গোপন ওই বিয়ে সম্পর্কে জানে না পরিবার ও এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার গাজীপুর গাছা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় রফিকুলকে আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ-র‌্যারেব কড়া নিরাপত্তায় তাকে কারাগারে নেওয়া হয়।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার ইলতুৎমিশ বলেন, গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজারের কলমেশ্বর এলাকায় একটি কারখানা চত্বরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক ওয়াজ মাহফিলে সরকারকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বুধবার গভীর রাতে র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে গাছা থানায় একটি মামলা করেন।

তিনি আরও বলেন, কারাগারে পাঠানো হলেও পরে হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে অবেদন করা হবে। এর আগে বুধবার ভোরে নেত্রকোনা থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে র‌্যাব।

র‌্যাব বলছে, নিজের ভাবির এক চাচাতো বোন আসমা বেগমকে দুইপক্ষের পরিবারের অজান্তে বিয়ে করেছেন। সে বিয়ের কাবিন বা সাক্ষী সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেননি রফিকুল ইসলাম । এছাড়া রফিকুলের মোবাইল ফোন থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের শীর্ষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে কুৎসা, কটূক্তিমূলক, বক্তব্য ভিডিও ও ফেসবুক কনটেন্ট পেয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেশ চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে সংশ্লিষ্টরা। হেফাজতের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিতেন।