১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১০:১৯
শিরোনাম:

বেতনের হিসাব খুলতে গিয়ে নিথর দেহে ফিরল তৃষা

শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরির প্রথম বেতনের টাকায় বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন তৃষা কর্মকার। কিন্তু যন্ত্রদানব তার সেই স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিল। সড়কেই ঝরল তার প্রাণ। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দ্রুতগামী ট্রলির চাপায় পল্লীবিদ্যুতের এই কর্মী নিহত হন।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভার অনুআ স্মৃতি চত্বরের সামনে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তৃষা কর্মকার (২৩) চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২, চাঁদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মস্থলের পাশের সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃষা কর্মকার। এ সময় দ্রুতগামী একটি ট্রলি তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হলে আশপাশের লোকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৃষা কর্মরকারকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ট্রলি আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার চালককেও খোঁজা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন চাকরি হওয়ায় বেতন তোলার জন্য ব্যাংকের হিসাব খোলার কথা ছিল তৃষা কর্মকারের। আর সেই কাজটি করতেই কর্মস্থল থেকে ব্যাংকের উদ্দেশে যাবার পথে ট্রলির চাপায় প্রাণ হারান তিনি।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক রতিশ্বর কর্মকারের মেয়ে তৃষা কর্মকার। চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে সম্প্রতি স্নাতকোত্তর পাস করেন তিনি। পরে কয়েক মাস আগে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে যোগ দেন। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সানকিসাইর গ্রামে। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে তৃষা কর্মকার ছিলেন সবার ছোট। কিছু দিন পরেই তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে মেয়েকে হারিয়ে বাবা-মা বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলেন। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও প্রতিবেশী স্বজনরা হারিয়ে ফেলছেন।