১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:১৯
শিরোনাম:

যুবলীগের দু’গ্রপের সংঘর্ঘ, শিশুসহ গুলিবিদ্ধ চারজন

কিশোরগঞ্জে নিকলীতে যুবলীগের দুই নেতার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশু চারজন আহত হয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরের খালিশাহাটি গ্রামের যুবলীগ নেতা নাজিউর রহমান সোহেল ও পার্শ্ববর্তী জাফরাবাদ গ্রামের মো. সাদ্দাম হোসেনের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। সংর্ঘষে গুলিতে তিন শিশু গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অপর একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলাসদরে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন— নিশামনি (৫), নূরমনি (৮), মো. রিয়ান (৮) ও আকাশ মিয়া (১৮) নামের এক যুবক।

সরেজমিনে জানা যায়, যুবলীগ নেতা নাজিউর রহমান সোহেল কয়েকদিন ধরে সোয়াজনী নদীর পশ্চিমাংশে পুরাতন চর (ধানী জমিতে) খনন করে বিশাল দিঘির মতো ফিসারি তৈরি করে আসছিলেন। এতে যুবলীগ নেতা ও নদীর ইজারাদার মো. সাদ্দাম হোসেন বাঁধা দিয়ে আসছিলেন। এই বাধাঁকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় উভয়ের মধ্যে। এরপর তাদের পরিবারের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এ সময় নাজিউর রহমান সোহেলের লোকজন জাফরাবাদ গ্রামে প্রবেশ করে মো. সাদ্দাম হোসেনের লোকজনের ওপর গুলি ছুড়ে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী মো. হারুন অর রশিদ (৩০), মো. নবী হোসেনসহ (৪০) অনেকেই। সংঘর্ষের খবর পেয়ে নিকলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম সিদ্দিকী জানান, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধদের নিকলী সদর হাসপাতালে তিনি দেখে এসেছেন । এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থ্য নেওয়া হবে।

নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসসাদিকজামান জানান, তিনি তৎক্ষনাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নদীর চর সরকারি সম্পত্তি, এতে ভূমি ও পরিবেশ আইন অমান্য করে কোনো রকম শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। নদীর বুকে ফিসারি খনন কাজে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।