১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৫৬
শিরোনাম:

যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যা, শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেফতার

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোট কোষ্টারী গ্রামে যৌতুকের দাবিতে নুরুন হুজ্জাতুন (২১) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই গৃহবধূকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর রাত ১১টার দিকে গৃহবধূর মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আকতারুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গৃহবধূর স্বামী আরিফুজ্জামান আরিফ (৩০), শ্বশুর মতিয়ার রহমান (৬০), শাশুড়ি আম্বিয়া খাতুন (৫০), ভাসুর ও ভাসুরের স্ত্রীকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে আকতারুজ্জামান বলেন, তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবি না মেটানোয় স্বামী আরিফুজ্জামান আরিফ ও শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্যরা পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করেছে।

এদিকে মামলা দায়েরের পর রোববার (১৬ মে) সকালে অভিযান চালিয়ে নিহতের শ্বশুর মতিয়ার রহমান ও শাশুড়ি আম্বিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বামী আরিফুজ্জামান আরিফসহ অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোট কোষ্টারী গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমানের ছেলে ও গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ার উলিপুর শাখায় কর্মরত আরিফুজ্জামান আরিফের সঙ্গে প্রায় আড়াই বছর আগে পার্শ্ববর্তী রমনা ইউনিয়নের শরীফেরহাট পাত্রখাতা গ্রামের আকতারুজ্জামানের মেয়ে নুরুন হুজ্জাতুনের বিয়ে হয়। তাদের ৭ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই গৃহবধূকে মারধর করে হত্যার পর ফাঁস দিয়ে রাখা হয়েছিল। এজন্য যৌতুকের কারণে হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, রোববার ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর মরদেহ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টার পাশাপাশি তদন্ত অব্যাহত আছে।