১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:২১
শিরোনাম:

সামুদ্রিক জীববৈচিত্র রক্ষায় উদ্যোগ- কুয়াকাটা সৈকতে লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপের অভয়াশ্রম

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,১৭ মে।। ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আনাগোনা নেই কুয়াকাটায় পর্যটকদের। তাই ফিরতে শুরু করেছে লাল কাঁকড়ার দল। সৈকতের অন্যতম আকর্ষন লাল কাকঁড়া ও তার আলপনা। এদের সবচেয় বেশি বিচরণ সৈকতের লেম্বুরবন ও গঙ্গামতি পয়েন্টে।অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন, শব্দ দূষণসহ পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপে লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপের অবাধ বিচরন কমে গেছে। এসব জীববৈচিত্র রক্ষায় সৈকতে তৈরি করা হয়েছে অভয়াশ্রম। এর ফলে প্রচুর পরিমানে লাল কাকড়া বংশ বৃদ্ধি পাবে। আর কচ্ছপের হবে আশ্রয় স্থান। পাশাপাশি পর্যটকরা
প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবে এমনটাই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় ইকোফিস-২,ওয়ার্ল্ডফিস এ উদ্যোগ গ্রহন করে। ইউএসএইড অর্থায়নে উপজেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন ও ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) এর বাস্তবায়ন করেছেন। গত ৫ এপ্রিল কুয়াকাটা সৈকতের কাউয়ারচর জোনের ঝাউবন এলাকায় ৩শ’ ফুট বাঁশের বেড়া দিয়ে উপদ্রবহীন সৈকতে এ অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়। সৈকত এলাকাতে পর্যাপ্ত পরিমানের লাল কাকড়া বৃদ্ধি সহ কচ্ছপের ডিম পারাকে নিশ্চিত করে পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন টোয়াক’র সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, লকডাউন চলার কারনে সীবীচের জিরো পয়েন্টের
দুই পাশে অসংখ্য লাল কাকড়ার বিচরণ দেখা যায়। অভয়াশ্রম তৈরী করার ফলে প্রচুর পরিমানে এর বংশ বৃদ্ধি পাবে। আর পর্যটকরা এটি খুব কাছ
থেকে দেখার সুযোগ পাবে।

ইকোফিস-২ ওয়ার্ল্ডফিস পটুয়াখালী জেলা সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, এক সময় কুয়াকাটার ঐতিহ্য ছিল লাল কাকড়া। এগুলে ক্রমশই
বিপন্ন প্রজাতি হয়ে যাচ্ছে। ইউএসএইড অর্থায়নে ওয়ার্ল্ড ফিস্  আওতায় ইকোফিস-২ জীববৈচিত্র সংরক্ষন নিয়ে কাজ শুরু করেছে। লাল
কাকড়ার বংশসহ পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার অংশ হিসেবে এ অভয়াশ্রম নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক সাংবাদিকদের জানান,কুয়াকাটা সৈকতে লাল কাঁকড়া ও কচ্ছপের অবাধ
বিচরণে অভয়াশ্রম সামুদ্রিক জীববৈচিত্র রক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব পরবে।