১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:১৯
শিরোনাম:

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট দিয়ে দু দিনেও ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশীরা ফিরতে পারেনী।।

মনিরুজ্জামান সুমন,চুয়াডাঙ্গা:  করোনা কালিন সময়ে ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশীরা গত দু দিনেও চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক
চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরতে পারেনী। দূতাবাসের ছাড়পত্র. বি এস এফ ও ভারতীয় ইমিগ্রেশনের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতির জটিলতায় সমস্যা হচ্ছে বলে দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার মো জাহিদুল ইসলাম দর্শনা সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলে দর্শনা ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এস আই আব্দুল আলীম জানান গত ১২ মে আন্ত:মন্ত্রনালয়ের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয় যে দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশীরা দূতাবাসের ছাড়পত্র. করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ ও বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থাকলেই কেবলমাত্র তারাই দেশে ফিরতে পারবেন। তিনি বলেন সোমবার(আজ) দুপুরে ভারতের নদীয়া জেলার গেদে চেকপোষ্টের ইমিগ্রেশন অফিসার শ্রী জয়নব কুমার জানান বাংলাদেশী প্রায় সাড়ে ৩শ পাসপোর্ট যাত্রীদের মধ্যে ( সোমবার পর্যন্ত) মাত্র ৫১ জনের নামে কোলকাতার বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন থেকে অনাপত্তিপত্র সনদ পেয়েছে বলে জানা গেছে, কিন্তু আমাদের (ভারতীয় ইমিগ্রেশন) উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ পাসপোর্ট ইস্যু করার নির্দেশ এখনো দেননি, বি এস এফ কোন নির্দেশনা পত্র পাননি। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান কোলকাতায় বাংলাদেশস্থ উপ হাই কমিশনার তৌফিক ইলাহী মহদ্বয়ের সাথে কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন রবি ও সোমবার না গেলেও দু একদিন পর থেকে তারা দেশে ফিরবেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো নজরুল ইসলাম সরকার জানান কলকাতার বাংলাদেশ উপ হাইকমিশনের কনসুলার বশির উদ্দীন এর সাথে কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন পাসপোর্ট যাত্রীরা অনলাইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে অনাপত্তিপত্র দেয়া হবে, মঙ্গলবার থেকে তারা ফিরে যেতে পারবে। তিনি জানান দু দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বৈঠকে একই সিদ্ধান্ত হয় যে , চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট সহ দেশের ৩টি স্থল সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের গত রোববার ১৬ মে থেকে দেশে পাঠানো হবে, কিন্তু গত দু দিন অতিবাহিত হলেও কেউ দেশে ফিরতে পারেনী। জেলা প্রশাসক আরো বলেন দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট দিয়ে ৩শ ৬৮ জন বাংলাদেশীকে নেয়া হবে এবং তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইন্সটিটিউট ও দামুডহুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশে ফিরে ১৪ দিনের বাধ্যতা মুলক কোয়ারেন্টিনে থাকা মর্মে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর নেয়া হবে।