১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:২৬
শিরোনাম:

কলাপাড়ায় মুজিব কিল্লা এলাকায় বইছে আনন্দের জোয়ার।।

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মুজিব কিল্লা এলাকায় এখন বইছে আনন্দের জোয়ার। উপজেলার চাকামইয়া
ইউনিয়নের নেওয়াপাড়ায় ও টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব টিয়াখালী গ্রামে নির্মিত দু’টি মুজিব কিল্লা আগামী ২৩ মে ভিডিও কনফারেন্সের
মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এসময় আরো ৫ মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। এ তথ্য চিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প
বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ুন কবির। এর ফলে বন্যা, ঘূর্নিঝড়সহ দুর্যোগকালীন সময়ে উপকূলীয় এলাকার মানুষের দু:শ্চিন্তা লাঘব হবে বলে
জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, কিল্লা ৮ হাজার বর্গমিটার আয়তনের। সাধারন কৃষি জমির চেয়ে প্রায় ১১ ফুট উঁচুতে পুরনো মাটির এ কিল্লার ওপরে নির্মিত ভবনে দূর্যোগকালীন সময়ে ভবনের প্রথম ফ্লোরে ও ছাদে অন্তত: ৫০০ পরিবারের মানুষ একত্রে আশ্রয় নিতে পারবে। এই মুজিব কিল্লায় গবাদিপশুর
জন্য ৫৫৮ বর্গমিটারের শেড থাকছে। থাকছে ওয়াশ রুম সুবিধা সহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা। এছাড়া ভবনে থাকছে বিদ্যুৎ ও সোলার সিষ্টেম
সুবিধা। যাতে স্বাভাবিক সময়ে এসব কিল্লা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, খেলার মাঠ ও হাট বাজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নেওয়াপাড়া গ্রামে ২ কোটি ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৭৭ টাকা ও টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব টিয়াখালী গ্রামে ২ কোটি ১ লক্ষ ২০ হাজার ৬৭৪ টাকা ব্যায়ে নির্মিত দু’টি মুজিব কিল্লা আগামী ২৩ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এ উপজেলায় মোট ১৩ টি মুজিব কিল্লা নির্মিত হবে। এর মধ্যে ৫ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ৬ টি প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

কলাপাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.হুমায়ুন কবির জানান, ’মুজিব কিল্লা নির্মান, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প’ যথাযথ ভাবে প্রকল্পের নির্দেশনা
অনুসারে গুনগত মান অক্ষুন্ন রেখে নির্মানে আমরা সার্বিক সহযোগীতা করে আসছি। নির্মান কাজ তদারকির জন্য একজন উপ-সহকারী
প্রকৌশলী নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমরা এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতো পারবো বলে আশা করছি।
প্রসংগত, সরকার ১৯৫৭.৪৯ কোটি টাকা ব্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রান মন্ত্রনালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর দেশের ঘূর্নিঝড় প্রবন ১৬টি
জেলার ৬৪টি উপজেলায় এবং বন্যা প্রবন ও নদী ভাঙ্গন ২২টি জেলার ৮৪টি উপজেলায় সর্বমোট ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মানের প্রকল্প হাতে
নিয়েছে সরকার। যা জুলাই ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন কাল নির্ধারন করা হয়েছে।