৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:০২
শিরোনাম:

ফেসবুকের ইনবক্সে বার্তা পেয়ে কলেজছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করলো পুলিশ

পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখা পরিচালিত ফেসবুক পেজের ইনবক্সে বার্তা পেয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা কলেজছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেধাবী ছাত্রী তমালিকা (কল্পিত নাম)। এসএসসিতে এ প্লাস পেয়েছে। সাভার মডেল কলেজে একাদ্বশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার ইচ্ছা পড়াশোনা করে বড় হওয়ার। কিন্তু মাঝে বাধ সাধে তার পিতার জেদ। ভাল পাত্র পাওয়ায় তাড়াহুড়ো করে মেয়েকে বিয়ে দিবেন। কিন্তু তমালিকা পড়তে চায়, বড় হতে চায়। অনেক বড়। দাঁড়াতে চায় তার মতো অনেকের পাশে। দেশের জন্য কাজ করতে চায়। এই বিয়ে তার সকল স্বপ্ন ভেঙে দিবে। যে কোনোভাবেই বিয়ে তাকে বন্ধ করতে হবে। কিন্তু শত চেষ্টা করেও বাবার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারেনি সে। পরিবারের সদস্যরা কেড়ে নেয় তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও। যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ও বন্ধ হয়ে যায় তার।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এরই মধ্যে বিয়ের দিন এসেও গেছে। বরও এবং আমন্ত্রিত অতিথিরাও বাড়িতে এসে গেছেন। চলছে সাজগোজ। চোখে চোখে রাখা হয়েছে তাকে। তবু এক ফাঁকে এক অতিথিকে অনুরোধ করে তমালিকা। পরে তার মোবাইল থেকে সহপাঠী এক বন্ধুকে ফোন করে সাহায্য চায়। বন্ধুটি কি মনে করে বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে বার্তা পাঠিয়ে সহায়তা চায়। বার্তাটি পেয়েই পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখা তাৎক্ষণিক মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার ওসি মো. আসলাম হোসেনকে বার্তাটি পাঠিয়ে অভিযোগ সত্য হলে বিয়ে বন্ধের নির্দেশনা দেয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার শঙ্কায় কাছাকাছি এলাকার এক জনপ্রতিনিধি সহায়তা চায় পুলিশ। পুলিশের অনুরোধে তিনি ছুটে যান এবং বিয়ে থামান। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশও পৌঁছে। এরপর পুলিশি মধ্যস্থতায় বিয়ে বন্ধ হয়। এর মাধ্যমে তমালিকার নতুন পথচলা শুরু হয়।