১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৩৬
শিরোনাম:

ওমর সানি-মৌসুমীর ছেলের রেস্তোরাঁয় অভিযান, সিসার সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৬

নগরীর গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে সিসা সেবনের সরঞ্জামসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গুলশান ১ ও ২ নম্বর সেকশনের মাঝামাঝি আরএম সেন্টারে অবস্থিত ‘মন্টানা লাউঞ্জ’। মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এ রেস্তোরাঁটিতে অভিযান চালায় পুলিশ।

‘মন্টানা লাউঞ্জ’ রেস্তোঁরার মালিক তিনজন। তাদের মধ‌্যে একজন তারকা দম্পতি ওমর সানি ও আরিফা জামান মৌসুমীর ছেলে ফারদিন এহসান স্বাধীন।

গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান বলেন—‘এই রেস্তোরাঁ থেকে দুই প্যাকেট ও আরো কিছু খোলা সীসার উপকরণ পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।’

ওমর সানি গণমাধ‌্যমকে বলেন, ‘‘মন্টানা লাউঞ্জ আমাদের। সাত থেকে আট মাস ধরে এটি চলছে। সিসার বিজনেস ইলিগ্যাল কোনো বিজনেস না। গুলশান-বনানীতে এটি ছাড়াও ৩০টির বেশি লাউঞ্জ রয়েছে। মূলত রেস্তোরাঁটি খাবারের। ‘কিছু সময়’ সিসা ‘সার্ভ’ করা হয়।’’

পুলিশ যাদের আটক করেছে রেস্তোরাঁটির কর্মী। এ বিষয়ে ওমর সানি বলেন, ‘এই ছয়জন নেহায়েত গরিব মানুষ, চাকরি করে খায়।’

সিসার ব‌্যবসা ওমর সানির মূল বিজনেস নয়। বিষয়টি উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘সিসা আমার মূল ব‌্যবসা না। এটা থেকে আমার রিজিক চলে না। আমি আইনের সঙ্গে শতভাগ আছি। আমার প্রশ্ন গুলশানে কি শুধু একটাই লাউঞ্জ আছে? নামকরা সিসা লাউঞ্জগুলো পাঁচ-সাত বছর ধরে চলছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশে দুই থেকে তিনশ লাউঞ্জ আছে। পুরো বাংলাদেশে আজকের মধ্যেই যদি সব লাউঞ্জ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে রাষ্ট্রের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু বিশেষভাবে আমাকে টার্গেট করে যদি করা হয়ে থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাইতেই হবে।

এর আগে উত্তরায় ওমর সানির আরেকটা লাউঞ্জ ছিল। সেটা তিন-চার বছর চালানোর পর কোভিডের কারণে লোকসানে পড়ে বলেও জানান ওমর সানি।