১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:৪৭
শিরোনাম:

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবীতে শেরপুরে মানববন্ধন

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে আটকে রেখে হেনস্তা, নির্যাতন ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শেরপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন-প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ মে বুধবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী শহরের মাধবপুরস্থ প্রেসক্লাব কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংশ নেয়।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মলয় মোহন বল, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধাঁর ও মনিরুল ইসলাম লিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, বর্তমান সহ-সভাপতি এসএম শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্ত, কবি সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি তালাত মাহমুদ, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি দেবাশীষ সাহা রায়, নালিতাবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ হাকাম হীরা, জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, জনউদ্যোগ আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি জিএইচ হান্নান, শ্রীবরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজাউল করিম বকুল, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, ঝিনাইগাতী উপজেলার সাংবাদিক মোহাম্মদ আল হেলাল, মানবাধিকার সংগঠন আমাদের আইন শেরপুর শাখার চেয়ারম্যান নুর-ই-আলম চঞ্চল, জেলা মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আইরিন পারভীন, সদর উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি সোলায়মান খান, শেরপুর ইয়্যুথ রিপোর্টারস ক্লাবের সভাপতি সোহেল রানা, শেরপুর ইয়ং রিপোর্টারস ইউনিটির সভাপতি জাহিদুল খান সৌরভ প্রমুখ।

এছাড়াও মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, শেরপুর গ্র্যাজুয়েট ক্লাব, রক্তসৈনিক বাংলাদেশ, বিডিক্লিন শেরপুর, আজকের তারুণ্যসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, রোজিনা ইসলাম একজন সৎ, মেধাবী ও সাহসী সাংবাদিক। স্বাস্থ্যখাত নিয়ে বেশ কয়েকটি অনুসন্ধানী নিউজ করার কারণেই তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়েছেন। ওইসময় বক্তারা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ওই ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।