১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:৫২
শিরোনাম:

গজারিয়ায় সরকারি নদী ও খাল দখলের উৎসব

টিকে গ্রুপের –পর্ব ১

বিশেষ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের শিকির গাও মৌজায় মেঘনা নদীর তীর সংলগ্ন (টিকে গ্রুপ) সুপার বোর্ড ও সামুদা কেমিক্যাল ১৫ থেকে ২০ বছর পূর্বে কতিপয় দালালের মাধ্যমে নামে-বেনামে প্রকৃত জমির মালিকদের নিকট থেকে বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে খরিদ করে নিজ নামে খতিয়ানভুক্ত করে নেয়।

সম্পত্তির উত্তর প্রান্তে মেঘনা নদী এবং শিকির গাও কান্দারগাঁও ও জামালদি মৌজা সম্পত্তির দক্ষিণ পাশ দিয়ে সরকারি খাল বা হালট প্রবাহিত হয়ে মৌজা বিভাজনের পরিচিতি লাভ করে।

শুরু থেকেই( টিকে গ্রুপ) সুপার্ বোর্ড ও সামুদা কেমিক্যাল বিভিন্ন কৌশলে প্রকৃত মালিক হতে সম্পত্তি ক্রয় না করে দখলীয় দালালের মাধ্যমে কম মূল্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সম্পত্তি হাতিয়ে নেয় বলে প্রকৃত জমির মালিকদের এমনই অভিযোগ।

এমনকি দক্ষিণ পাশের খাল বা হালট সামুদা কেমিক্যাল পর্যায়ক্রমে শ্রমিকদের আবাসন নির্মাণের পরিত্যক্ত নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে এই খালটি ভরাট করার কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভবানীপুর, লস্করদী, ও জামালদী গ্রামের প্রায় ১৫ থেকে ২ হাজার পরিবারের পানি সরবরাহ ও পানি নিষ্কাশনের একমাত্র এ খালটি মরা খালে পরিচিতি লাভ করার কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এলাকাবাসী।

ষাটোর্ধ্ব কয়েকজন প্রবীণ আক্ষেপের সুরে প্রতিবেদক দের সাথে কথা বলে জানান কম্পানি আসার পূর্বে এই খাল দিয়ে বড় বড় নৌকা ও ট্রলার যাতায়াত করত। আজ সেই খাল কম্পানি ভরাট করার কারণে পানি প্রবাহ ও নিষ্কাশনের বাধা সৃষ্টি হয়েছে।

জেলে সম্প্রদায়ের কয়েকজন জানান এই খালটি দিয়ে বড় মেঘনা নদী হতে সংযুক্ত হয়ে হোসেন্দী ব্রিজ পর্যন্ত জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রকার মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতাম।
এই খাল উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের বরাবর বেশ কয়েকবার এলাকার স্থানীয় লোকজন লিখিত আকারে অভিযোগ দিলেও কোন অদৃশ্যের কারণে কোম্পানি খাল দখল কোনো প্রকারেই অবমুক্ত করতেছে না।

এবং কোম্পানির দূষিত পানি খাল বা নদীতে প্রবাহিত করার কারণে শারীরিকভাবে বিভিন্ন চর্ম রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। সুপার বোর্ডের কাঠ ও পাট খড়ি ডাস্ট করার কারণে বাতাসের সাথে মিশে প্রায় শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের অধিকাংশ লোকই শ্বাসকষ্ট অ্যালার্জি রোগের উপসর্গৈ বিদ্যমান।

সামুদা কেমিক্যাল তাদের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য কতিপয় দালাল দিয়ে স্থানীয় বসবাসকৃত বাড়িঘর উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা নিলেও স্থানীয় লোকদের সাথে বাধার সম্মুখীন হন।

এবং সরকারি আইন শৃঙ্খলা আনসার বাহিনী উপর হামলা হলেও (টিকে গ্রুপ) সামুদা কেমিক্যাল কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানা যায়।
চলমান———-