৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:৫৭
শিরোনাম:

নারী পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না : বিজিবির মহাপরিচালক

বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে ‘সীমান্ত ব্যাংক’ এর ১৯তম শাখা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম আরও বলেন, নারী-শিশু পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। নারী পাচারে কারো কোনো সুপারিশ বিজিবি পাত্তা দেয় না। নারী ও শিশু পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হয় না।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরায় নারী পাচারের অভিযোগে একজন নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলের স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলকে ধরতে আমরা প্রতিদিনই তার বাসায় হানা দিই কিন্তু তিনি বাসায় নেই। পুলিশ-বিজিবি একই মন্ত্রণালয়ের কাজ করে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষাসহ সীমান্তেও আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, নারী পাচার রোধে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। নারী পাচার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে নারী পাচারের শিকার না হয় সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মিডিয়া ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া বিজিবি একার পক্ষে পাচার রোধ করা সম্ভব না। গত এক মাসে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত, সাতক্ষীরা সীমান্ত ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে ৩০০ জনকে অবৈধ পারপারের অপরাধে ধরা হয়েছে এবং তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ডিজি বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা আসছে। বুধবার রাতেও তিনজন রোহিঙ্গা নৌকায় করে এসেছিল। পরে তাদের আবার রাতেই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিরা এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবিও কাজ করছে। এখন বাংলাদেশের সীমান্ত চার হাজার ৪২৭ কিলোমিটার। আমাদের একটি বিওপি থেকে আরেকটি বিওপির দূরত্ব পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার। বিওপিতে টহল দল থাকে তারপরও শতভাগ সম্ভব হয়ে ওঠে না। বিজিবি সীমান্ত এলাকায় কাজ করার কারণে তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি।

তিনি বলেন, সারাদেশে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে হবে। শুরুতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে এই সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। উন্নত গ্রাহকসেবা এবং সময়োপযোগী বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে সীমান্ত ব্যাংক সামনে এগিয়ে যাচ্ছে ।

বিজিবির পক্ষ থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রাহকদের চাহিদা বিবেচনায় সীমান্ত ব্যাংক রিটেইল ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন সেবা দিচ্ছে। যেমন- পার্সোনাল লোন, হোমলোন, কারলোন, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য এস.এম.ই লোন, কৃষকদের জন্য জামানতবিহীন কৃষিঋণ, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানতবিহীন ‘নারীশক্তি’ ঋণ, শিক্ষার্থীদের অনলাইন শিক্ষা উপকরণের জন্য প্রযুক্তি ঋণসহ নানা ধরনের সেবা চালু করেছে। এ ছাড়া সীমান্ত ব্যাংক ইতোমধ্যে ক্রেডিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, আরটিজিএস, বিএফটিএন এবং রেমিটেন্স সেবাসহ নানা রকম আধুনিক সেবাও চালু করেছে।