২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৩৭
শিরোনাম:

ই-কমার্সের নৈরাজ্যের দায় ই-ক্যাব নেতারা এড়াতে পারেন না’

মহিউদ্দিন আহমেদ, সভাপতি, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন গত দুই বছর ধরে ই-কমার্স খাতে নৈরাজ্য বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইভ্যালি, অরেঞ্জ, ধামাকা, আলিশা মাটসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করার সংবাদ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। গ্রাহকরাও এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজপথে পর্যন্ত নেমে এসেছে। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিপুল সম্ভাবনাময় এ খাতের নৈরাজ্যের দায় এসব প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ই-ক্যাব এড়াতে পারে না বলে আমরা মনে করি।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে ই-কমার্স খাতে বাৎসরিক লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। ই-কমার্সে গত ২০২০ সালে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩২০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ এ বিপুল সম্ভাবনাময় এক খাতে নেতৃত্বে যারা আছেন তারা শুধুমাত্র মন্ত্রণালয়ে তদবির বাজিতে ব্যস্ত থাকেন।

সংগঠনটি আরও বলে, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি ই-কমার্স ইতিমধ্যে সরকারের কাছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা সহায়তা নিয়েছে। এছাড়া এ সংগঠনের সদস্য হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাঁদা দিতে হয়। তাছাড়া নিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠানগুলির কার্যক্রম দেখেই তারা সদস্য মনোনীত করেন। কিন্তু এমএলএম কোম্পানিগুলোকে কিভাবে তারা সদস্য হিসেবে নিল এবং তাদের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের দেনদরবার ও তদবির বাজিতে ব্যস্ত থাকলো। অনৈতিক লেনদেন কারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ এবং তার কর্তা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করে সেইসাথে গ্রাহকদের প্রাপ্য ন্যায্য দাবি পরিশোধের ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত সুরাহা না করতে পারায় নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা কোনোভাবেই দায়মুক্তি পেতে পারে না বলে আমরা মনে করি।

‘আমরা সরকারের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানাচ্ছি, ই-কমার্সের নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড এবং দায়দায়িত্ব কতটুকু ছিল তা জবাবদিহিতার আওতায় আনতে। এবং গ্রাহকদের প্রাপ্য দাবি প্রয়োজনে নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে পরিশোধ করার দাবি জানাচ্ছি। রাজপথে যারা ই-কমার্স খাতের ভুক্তভোগীরা আন্দোলন করছে তাদের সাথে আমরা সংহতি প্রদান করছি। আগামীতে যখন অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী সে সময় এ ধরনের নৈরাজ্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’