২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:১৪
শিরোনাম:

‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ কাদের উদ্দেশ্যে পরীমণির এই উক্তি

কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে সদ্য মুক্তি পাওয়া চিত্রনায়িকা পরীমণির ডান হাতের তালুতে মেহেদী দিয়ে এরকমই একটি উক্তি লেখা ছিল। এই উক্তি তিনি কাদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন বা কেন লিখেছেন সেটা স্পষ্ট নয়। অভিধানে বিচ শব্দটির নানা অর্থ আছে। তার মধ্যে রয়েছে স্ত্রীজাতির কুকুর, খেঁকশিয়াল বা নেকড়ে, কুক্কুরী, ক্রোধান্ধ, দুশ্চরিত্রা ইত্যাদি। তবে তার হাতে লেখা কথাটির সাদামাটা বাংলা অনুবাদে দাঁড়ায় ‘আমাকে ভালোবেসো না কুকুরছানা’। কথাটি তিনি যে অর্থেই বলে থাকেন না কেন, এটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

কেউ কেউ বলছেন, তার বিপদে যে বা যারা দূরত্ব বজায় রেখেছেন বা অসহযোগিতা করেছেন, তাদের উদ্দেশ্যেই পরীমণি এই লেখাটি লিখেছেন। বিষয়টি বুঝা যাবে পরীমণির পরবর্তী আচরণের উপর। তার জামিন হয়েছে শোনার পর থেকে কাশিমপুর কারাগারের সামনে লোক সমাগম শুরু হয়। কিন্তু সেদিনই তিনি কারামুক্ত হননি। পরদিন অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই আবারও লোক জমায়েত হতে শুরু করে কারা ফটকের সামনে।

পরীমণি কারাগার থেকে বের হয়েছেন সাদা পোশাকে এবং তাকে বহনকারী গাড়িটিও ছিল সাদা। তার মাথা ছিল সাদা কাপড়ে মোড়ানো। তার এই সাদা পোশাকের যদি প্রতীকী অর্থ করা হয়, তাহলে সেটা কি শান্তি, না নতুন কিছুর আভাস বুঝা যাচ্ছে না। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তিনি কারো কারো সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, হাসি মুখে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন এবং হাতটি মেলে ধরেছেন যাতে সবাই উক্তিটি সঠিকভাবে চিত্রায়ন করতে পারেন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে বনানীর বাসায় যান। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী প্যানেলের সদস্য নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীও।