২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:০৯
শিরোনাম:

অনলাইনে শুক্রাণু নিয়ে মা হলেন ব্রিটিশ নারী

বিয়ের ইচ্ছা কোনো দিনই ছিল না, কিন্তু চেয়েছিলেন তার মতোই দেখতে সন্তান পৃথিবীতে আসুক। কোল জুড়ে থাকুক। তাই অনলাইনে পড়াশুনা করে বাড়ি বসে নিজে নিজেই অন্তঃসত্ত্বা হন। তারপর ৯ মাসের গর্ভধারণ। সম্প্রতি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

ব্রিটিশ এই নারীর এমন কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। অনলাইনে কেনা সব জিনিসের মতোই, অনলাইনে কেনা শুক্রাণু থেকে হওয়া শিশুটিকে ‘ই-বেবি’ নাম দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে,৩৩ বছর বয়সী ওই নারী ইংল্যান্ডের তিসাইডের নুনথ্রোপের বাসিন্দা স্টেফানি টেলর নামে এক নারী দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে মরিয়া ছিলেন। কিন্তু তিনি কোনো পুরুষ সঙ্গ চাননি। তাই অনলাইনে শুক্রাণু কিনে নেন। ইউটিউব দেখে সেই শুক্রাণু গর্ভে স্থাপনের পদ্ধতি রপ্ত করেন। শেষে ই-বে থেকে কেনেন প্রজনন প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় সব জিনিস। এরপর নিজে নিজেই সেই শুক্রাণু গর্ভে স্থাপন করেন।

স্টেফানি টেলরের যুক্তি অনলাইনে যখন সব কিছুই হচ্ছে, তখন সন্তান ধারণেই সমস্যা কোথায়? ডেইলি স্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্টেফনি বারে বারে ইউটিউব চ্যানেলের নানা ভিডিও দেখেছেন। তারপরেই নিজের গর্ভে শুক্রাণু প্রতিস্থাপন করেছেন। তাতেই এসেছে সাফল্য। স্টেফনি সন্তানের নাম দিয়েছেন ইডেন।

কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ট্রেলর? জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সন্তানের ইচ্ছা থাকলেও বেসরকারি প্রজনন ক্লিনিকগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যাপক খরচ বহন করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। এক সময়ে সন্তানের আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপরেই তিনি এই অভিনব পন্থার সন্ধান পান।

ট্রেলর একটি বেবি অ্যাপের সন্ধান পেয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি শুক্রাণু কেনেন। ই-বে থেকে কেনেন প্রজনন প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় সব জিনিস। তারপরে নিজে নিজে তা গর্ভে স্থাপন করেন।

স্টিফেন জানিয়েছেন, প্রথম যে শুক্রাণু দাতা তাকে শুক্রাণু দিয়ে সাহায্য করেছিলেন, তাতেই তিনি গর্ভবতী হন। ব্রিটিশ এই নারী তাই নিজের সন্তানকে যথার্থ অর্থেই ‘রিয়েল অনলাইন বেবি’ বলে সম্বোধন করেন।

ওই নারী জানিয়েছেন, শুক্রাণু দাতাকে খুঁজে পাওয়ার পরে তিন সপ্তাহ তাকে লাগাতার মেসেজ পাঠান। তারপরে তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে স্টিফেনের বাড়িতে শুক্রাণু পৌঁছে দেন। এরপর ১৫ অক্টোবর পৃথিবীর আলো দেখে ছোট্ট ইডেন।