১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:১১
শিরোনাম:

ট্রাংকে ভরে তরুণীর লাশ পাঠালেন ঢাকায়, ছয় বছর পর প্রেমিক গ্রেপ্তার

রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে চট্টগ্রাম থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসে ট্রাংকের ভেতর থেকে অজ্ঞাতনামা এক তরুণীর মরদেহ ছয় বছর পর শনাক্ত করেছে পিবিআই। শুক্রবার কুমিল্লা থেকে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত রেজাউল করিম স্বপন নামে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এক নৌবাহিনীর সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ২০১৫ সালের ৩ মে সকালে চট্টগ্রামে কে খান মোড়ে ঈগল পরিবহনের কাউন্টারে টিকিট কেটে এক ব্যক্তি একটি ট্রাংক বাসে তুলে দেন। তিনি হেলপারকে বলেন, সামনের ভাটিয়ারী কাউন্টার থেকে এই টিকিটের যাত্রী উঠবে। কিন্তু পরবর্তী ওই কাউন্টার থেকে যাত্রী না উঠায় বাসটি বিকেলে গাবতলী এসে পৌঁছায়। বাসের সব যাত্রী তাদের জিনিসপত্র নিয়ে নেমে যান। কিন্তু একটি ট্রাংক মালিকবিহীন পড়ে আছে। দারুসসালাম থানা পুলিশ এসে ট্রাংকটি খুলে একজন অজ্ঞাতনামা তরুণীর মরদেহ দেখতে পান।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ১০ জুন পাহাড়তলী থানায় একটি জিডিতে দেখা যায়, শম্পা বেগম চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থেকে নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় নিহত শম্পা বেগমের ভগ্নীপতি আব্দুল মান্নান পাহাড়তলী থানায় জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ও শম্পা বেগমের বাবা ইলিয়াস শেখের (অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তিনি জানতে পারেন, ২০১৩ সালে স্বপন খুলনা তিতুমীর নৌঘাঁটিতে কর্মরত ছিলেন। এসময় শম্পা হাসপাতালে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ করতেন। হাসপাতালে ইলিয়াস শেখের স্ত্রীর চিকিৎসার সময় তার মেয়ে শম্পার সঙ্গে রেজাউলের পরিচয় হয়।

বনজ আরও বলেন, পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম ও পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে স্বপন বদলি হয়ে চট্টগ্রাম চলে যান। এরপর শম্পা ও স্বপন ২০১৪-১৫ সালের মে পর্যন্ত একত্রে বসবাস করেন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করলেও বিয়ে করেননি। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দিলে শম্পাকে ২০১৫ সালের ২ মে গভীর রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বপন মরদেহ একটি ট্রাংকে ভরে ঈগল পরিবহনের ওই বাসে তুলে দেন। আর শম্পার বাবাকে জানান, তাকে খুলনার বাসে তুলে দেওয়া হয়েছে।