২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:৪৩
শিরোনাম:

সৌদিআরবে প্রবাসীগন নিয়োগকর্তা ব্যতীত অন্যত্র কাজ করলে জেল,জরিমানা এবং নিজ দেশে নির্বাসনে পাঠানোর ঘোষণা

আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৌদিআরব প্রতিনিধি : সৌদির সাধারণ পাসপোর্ট অধিদপ্তর (জাওয়াজাত) স্পষ্ট করে বলেছে যে, সৌদি নিয়োগকর্তা, যিনি তার প্রবাসী কর্মীকে তাদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য বা কিছু অর্থের বিনিময়ে চাকরিতে নিযুক্ত করার অনুমতি দেন, তাকে সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০ হাজার সৌদি রিয়াল যা (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১১,২০,০০০ টাকা ) জরিমানা করা হবে ।

সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনের বরাত জাওয়াজাত সূত্রে জানা গেছে যে, নিয়োগকর্তা যিনি প্রথমবারের মতো এই আইন লঙ্ঘন করবে, তাকে এক মাসের জেল এবং ৫,০০০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে।একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটলে শাস্তির মধ্যে রয়েছে দুই মাসের কারাদণ্ড এবং ২০,০০০ সৌদি রিয়াল জরিমানা, তৃতীয়বার উক্ত আইন লঙ্ঘনের জন্য নিয়োগকর্তাকে তিন মাসের জেল এবং ৫০,০০০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান করা হয়েছে ।

জাওয়াজাত উল্লেখ করেছে যে, একজন শ্রমিকের স্ব-কর্মসংস্থানের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কমপক্ষে এক বছরের জন্য শ্রমিক নিয়োগের জন্য নিয়োগকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বার একই আইন লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি হলে নিষেধাজ্ঞা যথাক্রমে দুই বছর এবং তিন বছর করা হবে।

জাওয়াজাত সতর্ক করে দিয়েছে যে, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য চাকরিতে নিযুক্ত প্রবাসীদের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০,০০০ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রবাসীকে জেল খাটানো এবং জরিমানা পরিশোধের পর নিজ দেশে নির্বাসিত করা হবে।

জাওয়াজাত সূত্র আরোও জানিয়েছে যে, প্রবাসী যিনি তার আসল নিয়োগকর্তা ছাড়া অন্য কারও জন্য কাজ করেন বা নিজের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য কাজ করেন, তবে তাকে তার নিজ দেশে নির্বাসিত করা হবে।

যদি একজন প্রবাসী তার সুবিধার জন্য অন্য একজন প্রবাসীকে নিযুক্ত করে, তাহলে প্রবাসী নিয়োগকর্তাকে তার রেসিডেন্সি পারমিট (ইকামা) বাতিল এবং সৌদি থেকে নির্বাসনের পাশাপাশি ৫০,০০০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা বা এক মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।