২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:৪৮
শিরোনাম:

ফেলে দেওয়া মোবাইল ফোনের স্বর্ণে কোটি টাকার ব্যবসা

স্বর্ণ বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। তাই মোবাইল ফোন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় মু্ল্যবান এই ধাতব পদার্থটি। শুধু সোনাই নয় রুপা ও তামা ব্যবহার করা হয়ে থাকে হ্যান্ডসেট তৈরিতে। সোনা ক্ষয় হয় না, মরিচা ধরে না। তাই মোবাইল ফোনের ইন্টিগ্রেটেড সারকিট (আইসি) বোর্ডের ছোট্ট কানেকটরগুলোতে স্বর্ণ ব্যবহৃত হয়। যদিও একটি মোবাইল ফোনে খুব সামান্য পরিমাণ সোনা থাকে। তবে ফেলে দেওয়া বিপুল সংখ্যক ফোন থেকে সংগ্রহ করা যায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সোনা, যা দিয়ে চলে কোটি টাকার ব্যবসা।

সব ধরনের মোবাইল ফোন তৈরিতেই সোনা থাকে, বাদ যায় না স্মার্টফোন বা আইফোন। হিসাবে দেখা গেছে, ফোনে ৩৪ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সোনা থাকে। একটি ফোন হিসাব করলে সোনার পরমাণ সামান্যই। কিন্তু এখন যে হারে পরিত্যক্ত মোবাইলের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সংগৃহীত সোনার পরিমাণ অনেক।

অব্যবহৃত মোবাইল ফোন যেখানে আমাদের কাছে প্রযুক্তি বর্জ্য। সেখান থেকে সোনার মতো দামি ধাতু বের করে চলছে রমরমা ব্যবসা। হিসাব বলছে, ৪১টি মোবাইল ফোন থেকেই ১ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এখন যার গড় মূল্য ছয় হাজার ২৭৩ টাকা। ওই হিসাবেই দেখা গেছে, বিশ্বে সারা বছরের বাতিল মোবাইল ফোন থেকে চার হাজার কোটি টাকার সোনা পাওয়া যায়।

মোবাইল ফোনে সোনার কানেকটরগুলো ডিজিটাল ডাটা দ্রুত এবং যথাযথ স্থানান্তর করার জন্যও ব্যবহৃত হয়। মোবাইল ফোনের মতো, সোনা কম্পিউটার ও ল্যাপটপের আইসিগুলিতেও ব্যবহৃত হয়। আর এই ভাবেই বাতিল মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি দিয়ে চলে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।

সূত্র: বিবিসি, আনন্দবাজার