২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৪৯
শিরোনাম:

টিকটকে মিথ্যা পরিচয়ে শতাধিক নারীর সর্বনাশ করে রাজ!

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূয়া পরিচয়ে টিকটক ব্যবহার করে প্রতারণা ও নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতের নাম-টিকটক রাজ ওরফে মো. আব্দুর রাকিব ওরফে খোকন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং-এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম ভার্চুয়াল জগতে ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বিভিন্ন প্রতারণা ও বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে তথ্য পায়। র‌্যাব শুধুমাত্র মাঠ পর্যায়ে নয়, ভার্চুয়াল জগতেও যারা ভুয়া পরিচয় প্রদান করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখে চলেছে। ফলশ্রুতিতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার র‌্যাব-২ ও ৫ এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা হতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূয়া পরিচয়ে টিকটক ব্যবহার করে প্রতারণা, নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন, ব্ল্যাককমেইল এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টিকটক রাজ ওরফে মো. আব্দুর রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি মোবাইল, সাতটি সিমকার্ড, মেমোরি কার্ড, র‌্যাব ইউনিফর্ম ও স্কাপ, ভুয়া আইডি কার্ড, চেইনসহ বাঁশি, বুট ইত্যাদি জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টিকটক রাজ ভার্চুয়াল জগতে ভুয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপরাধ সংশ্লিষ্টতার সম্পর্কে তথ্য দেয় বলে জানায় র‍্যাব।

র‍্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত টিকটক রাজ ওরফে মো. আব্দুর রাকিব ওরফে খোকন দীর্ঘদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যথাক্রমে টিকটক, ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ইত্যাদির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুয়া পরিচয় দিয়ে আসছিল। সে বিগত দুই বছর যাবৎ অনলাইন প্লাটফর্মে এমন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।

তার নির্মিত ও প্রচারিত মুখরোচক ভিডিও’র মাধ্যমে টিকটকে ইতোমধ্যে ২ মিলিয়নের অধিক ভিউ এবং ফলোয়ার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এই প্রতারক। সে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন নারীদের প্রলুব্ধ ও প্রতারিত করে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং পরবর্তী সময়ে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতো।