২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৫৪
শিরোনাম:

আফরোজা আব্বাসের সামনেই যুব-মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীর হাতাহাতি

পটুয়াখালীতে মহিলা দলের সম্মেলন চলাকালে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে যুবদল ও মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সরিয়ে দেয়।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের সেন্টারপাড়ার বধুয়া কমিউনিটি সেন্টারের ভেতরে ও বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সম্মেলনের মঞ্চে কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সেক্রেটারি সুলতানা আহমেদসহ বরিশাল বিভাগীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করার সিরিয়াল নিয়ে জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ভিপি শাহিন মিয়া সঙ্গে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আকরাম শিকদারের প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পরিবেশ উত্তপ্ত হলে উভয়ের কর্মী-সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ২০ মিনিট ধরে দফায় দফায় এ অবস্থা চলতে থাকলে এক পর্যায়ে পুলিশ সবাইকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় অভি, অপু ও সজল নামে যুব ও মৎস্যজীবী দলের তিন কর্মী আহত হয়েছেন। এরপর সম্মেলনের কার্যক্রম চালিয়ে যান জেলার নেতৃবৃন্দরা।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘জুনিয়ররা যদি সিনিয়রদের সম্মান করতে না শেখে তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়।’

পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আকরাম শিকদার বলেন, ‘এত বড় অনুষ্ঠানে পোলাপানের মধ্যে টুকিটাকি কিছু হওয়া কোনও বিষয় নয়।’

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সম্মেলনের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে সেখানে ডিউটিরত পুলিশ ছিল, তারা রাস্তা ক্লিয়ার করে দিয়েছেন। এছাড়া কোনও ঘটনা ঘটেনি।’

জেলা মহিলা দলের সম্পাদিকা জেসমিন জাফর ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফারজানা রুমার সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস। সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বরিশাল বিভাগীয় আহ্বায়ক জীবা আমিনা আল গাজী।

আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হামলা-মামলার রাজনীতি করে। তারা প্রশাসন ছাড়া এক পাও চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ কিছু পারুক আর না পারুক জনগণকে অত্যাচার উপহার দিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘কিসের উন্নয়নশীল দেশ? তারা তো শ্রমজীবী মানুষকে না খেয়ে মারার প্ল্যান করছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে। এমনকি জ্বালানি তেলের দামও বাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ শুধু খুন, গুম, ধর্ষণ করতে পারে।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দরকার হলে আরেকবার যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, যেমনটা আমাদের পূর্বপুরুষরা মুক্তিযুদ্ধের সময় করেছিল।’

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংষু সরকার কুট্টি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি অধ্যাপিকা লায়লা ইয়াসমিন তালুকদার ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদিকা এলিজা জামান। এছাড়াও জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ’ নেতাকর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন শেষে আফরোজা বেগম সীমাকে পটুয়াখালীর সভাপতি এবং ফারজানা ইয়াসমিন রুমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেয়া হয়।