২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:০১
শিরোনাম:

কলম/ বল-পয়েন্ট

অনিক চৌধুরী :  ( A pen is the tongue of the mind ) কে চেনে না এই জিনিসটাকে !চেনে না কি,বলাই বাহুল্য যে কে ব্যাবহার করেনি কলম । আমাদের জীবনকে এক অন্য মাত্রা এবং সহজতর করে দিয়েছে কলম ।
কিন্তু আমরা কলম ব্যাবহার করি ঠিকই,কিন্তু এর উদ্ভাবনের গল্প আমরা অনেকেই জানি না । মানুষ প্যাপিরাস ( নলখগড়া গাছের ছাল শুকিয়ে তাকে লেখার উপযোগী করা হতো) আবিষ্কার করার পর পরই কলমের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে,আর তাই তারা “রিড পেন” তৈরি করে। এটিই ছিল প্রথম কলমের উদ্ভাবন । দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে কলম ব্যাবহার করি সেইটা কে বলা হয় বল-পয়েন্ট পেন,আর এইটা ছিল কলমের বিবর্তনের এক টার্নিং পয়েন্ট।

এই বল-পয়েন্ট পেন আবিষ্কার করেন László Bíró,১৯৪৩ সালে। পেশায় তিনি একজন সংবাদপ্ত্র সম্পাদক ছিলেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে কাগজে ছাপানো কালি অনেক দ্রুত শুকিয়ে যায় আর সেই জন্যই সে বল-পয়েন্ট কলম তৈরির উদ্যোগ নেন। László Bíró, তার ভাই এবং একজন রসায়নবিদ কে নিয়ে এই নকশাটি প্রকাশ করেছিলেন। বল-সকেট মেকানিজম ব্যাবহার করে তারা এই বল-পয়েন্ট কলম তৈরি করেছিলেন । আর এই উদ্ভাবনের সাথে বিশ্ব পরিচিতি লাভ করে “বুদাপেস্ট আন্তর্জাতিক মেলায়”। তারা তাদের এই কলমের নাম দিয়েছিল “Bíró”।

যদিও আমেরিকান উদ্ভাবক “জন জে লাউড” বল-পয়েন্ট কলমের প্রথম নকশা করেছিলেন । কিন্তু তা লেখকের লেখার জন্য সুবিধাজনক ছিল না । এক কথায় “জন জে লাউড” পথ প্রদর্শন করে দিয়েছিলেন “László Bíró” এর আধুনিক বল পয়েন্ট পেন আবিষ্কারের। গড়ে দেখা যায়,একটি বল-পয়েন্ট পেন প্রায় ৪৫০০০ শব্দ লিখতে পারে । আর এই কলমে প্রায় 25-40 শতাংশ রঙ যুক্ত একটি পেস্ট দিয়ে তৈরি, যা তেলে স্থগিত করা হয়।