২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৩০
শিরোনাম:

পদ্মা সেতুতে লুটপাট না হলে আমরা ধন্যবাদ দিতাম : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, খালেদা জিয়া কখনো চাননি পদ্মা সেতু না হোক। দেশি-বিদেশি দাতা সংস্থা পদ্মা সেতুর ওপর আঙুল তুলেছিল, সরকার তার জবাব দিয়েছে। পদ্মা সেতুর টাকা জনগণের টাকা, এটা কারো ব্যক্তিগত টাকা না। সুতরাং এটার কৃতিত্ব নেওয়ার কিছু নেই। জনগণের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু হয়েছে।

শনিবার (২ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রাধানগর পয়েন্টে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত দুস্থ নারী ও শিশুদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, জনগণের ত্যাগে পদ্মা সেতু হয়েছে। এটা যদি দুর্নীতিমুক্ত হতো, এখানে যদি কোনো লুটপাট না হতো, তাহলে অবশ্যই এটি বাস্তবায়নের জন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ দিতাম। আমরা দুঃখিত। ধন্যবাদ দিতে পারছি না। কারণ এখানে দুর্নীতি সম্পৃক্ত। আমরা যদি ধন্যবাদ দিতে চাই, তাহলে দুর্নীতির টাকাটাও হালাল হয়ে যাবে। মানুষ ভালো বলবে না।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে আইনগত কোনো বাধা ছিল না। তারপরও তারা দেয়নি। উনি গৃহবন্দী। উনার ধন্যবাদ দেওয়ার অধিকারও নেই, সেই সুযোগ দেয়নি। সার্বিক অর্থে বলব পদ্মা সেতু দেশের সম্পদ, দেশের টাকায় হয়েছে। এর কৃতিত্বের দাবিদার দেশের প্রতিটি জনগণ। কোনো ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠী নয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দী আর সুনামগঞ্জবাসী পানিবন্দি। পানিবন্দি আর গৃহবন্দীর মধ্যে তফাৎ নেই। আমরা দুস্থ, আপনারও দুস্থ। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে কোটি টাকা খরচ না করে সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত মানুষের জন্য দিলে মানুষের উপকার হতো। কিন্তু তা না করে কোটি টাকা খরচ করে ৫০০ বাথরুম তৈরি করা হয়েছিল।

নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সহ-সম্পাদক মোনাজ্জির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক শরাফাত আলী শফু, বিএনপির সাবেক এমপি বিলকিছ ইসলাম, জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল প্রমুখ।