২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:২১
শিরোনাম:

‘মির্জা ফখরুলের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি দেশের জনগণকে আতঙ্কিত করে’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান সরকারকে অবৈধ অভিহিত করে সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধ করছেন।

সোমবার (৪ জুলাই) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি দেশের জনগণকে আতঙ্কিত করে। কারণ তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের নামে জনগণের উপর যে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল, তার দগদগে ক্ষত এখনও দেশবাসীর মানসপটে অমলিন। মির্জা ফখরুল কথায় কথায় সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও জনগণের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান সরকারকে অবৈধ অভিহিত করে সংবিধান লঙ্ঘনের অপরাধ করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত আওয়ামী লীগ এদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সুদৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর। দেশের গণতন্ত্র হারিয়ে যায়নি যে তা ফিরিয়ে আনতে হবে। বরং প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিএনপি’র সব কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয়েছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থি ধারায়।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র ধ্বংসই শুধু নয়, বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে। স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভ‚ বিএনপিই এদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার প্রধান অন্তরায়। অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা এবং ভোট তথা ভাতের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে আসছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বদাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলে। আওয়ামী লীগ জনগণের প্রভু নয়, সেবক হয়ে থাকতে চায়। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কারো বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেয়নি। মির্জা ফখরুল গায়েবি মামলার কথা বলে রাজনীতিতে গায়েবি আওয়াজ তোলার অপচেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, যেহেতু জনগণের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই সেহেতু তারা গায়েবি ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতেই আস্থা রাখে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতির সাম্রাজ্য বিস্তার ও ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে গণবিরোধী অবস্থানের কারণে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক অপশক্তি হিসেবে চিহ্নিত। দীর্ঘ স্বৈরশাসন ও বিএনপির অপরাজনীতিকে পরাজিত করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই প্রমাণ করেছে রাষ্ট্রক্ষমতা দম্ভ প্রদর্শনের জন্য নয়; ক্ষমতা দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য, সরকারি পরিষেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য।