২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:১৩
শিরোনাম:

কুয়াকাটায় খাবার হোটেল মালিকদের আকস্মিক ধর্মঘাট, ভোগান্তিতে পর্যটক

জাকারিয়া জাহিদ,কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পদ্মা সতু উদ্বাধনের পর কুয়াকায় পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলেও  বাড়নি খাদ্যের মান। খাবার হাটেলগুলোতে খাওয়ানো  হচ্ছে পচাঁ বাসি খাবার। তাই পর্যটকদর জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পটুয়াখালী জলা প্রশাসনের পক্ষথেকে মাসব্যাপী ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে খাবার হোটেলগুলোতে জরিমানা করার পরও মানহীন খাবার পরিবশন করছে পর্যটকদের। মান সম্মত খাবার পরিবেশনে ব্যর্থ হওয়ায় কয়েক  দফা আর্থদন্ড করা হয়।নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে  তাদের তাগিদ দিলও একই কাজ বার বার করছেন তারা বলে জানিয়েছেন  প্রশাসন।
 বার বার অর্থদণ্ডের কারনে ক্ষুদ্ধ হয়ে খাবার হাটেল মালিক সমিতি এর প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বুধবার (১৭ আগস্ট ) সকাল থেকে খাবার হোটেল  রেস্তোরাঁ  অনিদিষ্টকালর জন্য বন্ধ কর দেয়। আর এতে করে চরম ভোগান্তিতে  পরেছে আগত পর্যটকরা। কোন প্রকার আগাম নাটিশ ছাড়াই খাবার হোটেল বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষাভ প্রকাশ করছে পর্যটকরা।  এদিক খাবার হোটেল  মালিকরা বলছেন এক মাসের মধ্য তাদের হোটেল গুোলতে তিন থেকে চারবার জরিমানা করা হয়েছে । রেস্তেরাঁ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া তাদের অন্য কোন উপায় ছিল না। তবে কোন প্রকার আগাম আলোচনা ছাড়াই খাবার হোটেল বন্ধ রখে ধর্মঘাট পালন করায় জেলা প্রশাসন, আবাসিক হোটেল  মোটেল মালিক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সামাজিক সংগঠনগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করছন।
পর্যটকদের ভোগান্তির কথা চিন্তা না করে নিজেদের ইচ্ছামতো  এমন হটকারী সিদ্ধান্ত  পর্যটনের উপর বড় ধরনর প্রভাব পরবে বলে মন করেন সংশ্লিষ্ঠ কর্তপক্ষ। এদিকে খাবার হোটেল ধর্মঘাটের কারনে ভোগান্তিতে পড়া পর্যটকদের কথা চিন্তা করে পর্যটন মোটেলের রেস্তেরাঁ  সাধারণের জন্য খুল দওয়া হয়েছে। এছাড়া যেসকল  আবাসিক হাটলে রেস্তেরাঁ  রয়েছে  সেগুলোও খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বুধবার সকাল থেকে রেস্তেরাঁ বন্ধ রেখে নির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ঘোষণা দিয়েছেন হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। ব্যবসায়ীদর অভিযাগ,দফায় দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে তাদের কাজ থেকে জরিমানা আদায় করছেন ।
 খাবার হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি  সলিম মুন্সী মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাত ১০টায় স্থানীয়  সাংবাদিকদের জানান,বুধবার সকাল থেকে  খাবার হোটেল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করা হবে ব । তিনি অভিযাগ করে বলন, প্রতিদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খাবার হোটেলে  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালোনার নামে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করছেন। একই হোটেলে একাধিকবার জরিমানার করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ডের নামে আমাদের হয়রাণি করা হচ্ছে। আমরা আর্থিকভাব ক্ষতিগ্রস্ত। তাই কুয়াকাটার সকল খাবার হোটল মালিক একত্রিত হয়ে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন , আমার মালিকানাধীন আল-মদিনা নামের একটি খাবার হোটেলে  গত ১১ আগস্ট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। ১৬ আগস্ট পুনোরায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ জরিমানার অর্থ পরিশোধ করত না পারায় আমাক বেশকিছুক্ষণ পুলিশ বক্স আটকে রাখা হয়। সুদে আনা টাকা দিয়ে জেল খাটা থেকে রেহাই পাই ।
 খাবার হোটেল  মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাঃ কলিম মাহমুদ বলন, প্রশাসনের এই হয়রানি সামাল দিয় আমাদের পক্ষে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না। তাই আমরা প্রায় ৫০টি খাবার হোটেল  মালিক একমত হয়ে বুধবার (১৭ আগস্ট) থেকে  প্রতিষ্ঠান বন্ধর সিদ্ধান্ত  নিয়েছি।
এদিকে  কুয়াকাটা হোটেল  মোটল ওনার্স এসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব  শরীফ বলেন, খাবার হোটেল   বন্ধ থাকা বা রাখা সমাধান নয়। পর্যটকদের স্বার্থে ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া  উচিত।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা রাসেল দম্পতি জানান, আমরা তিন দিন হয় এসেছি,সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি খাবার হোটেল রেস্তোরাঁ সব বন্ধ। আমরা কোথাও খেতে পারছি না, শুধু চা বিস্কুট খেয়ে আছি। দুপুরে কোথায় খাব জানিনা।তবে খুব দ্রুত এটার সমাধান করা দরকার।রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক জামান বলেন, সকাল থেকে কিছুই খাওয়া হয়নি। সাথ পরিবারের  শিশুসহ বয়স্ক লোকজন রয়েছে , তাই এ সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া জরুরী। ঝালকাঠি থেকে  আগত পর্যটক শহিদুল ইসলাম তপন বলন, পরিবারর আট সদস্য নিয় সকালে কুয়াকাটা এসে পৌছান তারা। কিন্তুু খাবার হোটেল  বন্ধ থাকায় তারা শিশু সন্তান  নিয়ে না খয়ে আছেন। বাচ্চারা খাবারের  জন্য কান্নাকাটি করছে। এখন কি করবো বুজতে পারছিনা।
এপ্রসংঙ্গ কলাপাড়া উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মাঃ শহিদুল হক বলন,পর্যটন কেন্দ্র  কুয়াকাটায় রেস্তেরাঁ  মালিকদর আকস্মিক ধর্মঘাট ডাকাটা অযক্তিক। পর্যটকদর জন্য স্বাস্যসম্মত খাবার পরিবশনর গুরুত্বে কুয়াকাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। জরিমানা করার পরও খাবার হোটেল  মালিকরা পর্যটকদর পচাঁবাসি খাবার পরিবেশন করছে। খাবার হোটেল  মালিকরা তাদের যক্তিক দাবি থাকলে জেলা প্রশাসককে জানাতে পারতেন।