২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:৩০
শিরোনাম:

ইডেন শিক্ষার্থীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করানোর সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি

ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করানোর অভিযোগের সত্যতা পায়নি কলেজের তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও তৎপরবর্তীকালে অন্যান্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির ঘটনাসমূহ এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু শিক্ষার্থীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ জিয়াউল হক, অধ্যাপক কাজী আতিকুজ্জামান, অধ্যাপক সুফিয়া আখতার এবং অধ্যাপক মেহেরুন্নেসা মেরীর সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

প্রতিবেদনে কোনো শিক্ষার্থীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করানোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে।

এছাড়া সিট বাণিজ্য ও মারামারির ঘটনাসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কলেজ প্রশাসন বিধি অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, ‘তদন্ত কমিটি প্রায় দু’হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপ করেছে। যারা অভিযোগ করেছে তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে। প্রশ্ন করা হয়েছে, লিখিতও নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের উত্তরের ভিত্তিতে তৈরি করা তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার কোনো সত্যতা মেলেনি।’

উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজি, অনিয়ম ও সিট বাণিজ্যের অভিযোগে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। পরে কমিটি স্থগিত এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে ১৬ জন নেত্রীকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

এছাড়া গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়াকে কেন্দ্র করে সদ্য স্থগিত কমিটির শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার অনুসারীদের মারধর, হেনস্তার শিকার হন সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস। মারধর ও হেনস্তাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় ক্যাম্পাস। উত্তপ্তের একপর্যায়ে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়। এ সময় রিভা-রাজিয়ার বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে বাধ্য করানোর অভিযোগ করা হয়। অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগের বিষয়ে গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ প্রশাসন।আজ তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।