২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:০৩
শিরোনাম:

নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

১০ দফা দাবিতে ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। আজ সোমবার শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠনের বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটি, শিপিং করপোরেশন, নৌযান মালিক ও শ্রমিক নেতারা।

প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘বৈঠকে মালিক-শ্রমিকরা তাদের দাবি জানিয়েছেন। আমরা তাদের দাবি ও সমস্যাগুলো দেখছি। এক মাসের মধ্যে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে কমিটি করেছি। এই এক মাস শ্রমিকদের অন্তর্বতীকালীন ভাতা প্রদানের জন্য মালিকপক্ষকে বলেছি।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাঝখানে একটি পক্ষ বিশৃঙ্খলা করেছে। কয়েক জায়গায় হামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ও মামলা হয়েছে। মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে। তাতে আমরা সহযোগিতা করব বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেছি।’

মাসে সর্বনিম্ন মজুরি ২০ টাকা করাসহ ১০ দাবিতে দেশজুড়ে ধর্মঘট শুরু করেন নৌযান শ্রমিকরা। গত শনিবার ডাকা এই ধর্মঘটে রোববার সকাল থেকে ঢাকা নদীবন্দরসহ সারা দেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘাটে আসা যাত্রীরা।

নৌযান শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি

১. নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান।

২. শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ।

৩. খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটর প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন।

৪. দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।

৫. চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা।

৬. বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাতে চলাচলে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল।

৭. নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা।

৮. ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস দেওয়াসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা।

৯. চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করা।

১০. চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।