২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:১০
শিরোনাম:

আয়াতের দেহের দুটি খণ্ড পাওয়া গেছে

বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডের স্লুইসগেটের পাশ থেকে পা দুটি উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআই মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় আয়াত। পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপরে ২৪ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী সড়ক থেকে ঘাতক আবির আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

আটকের পর পিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু আয়াতকে মুক্তিপণের উদ্দেশে অপহরণের কথা স্বীকার করেন আবির আলী। পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে ছয় টুকরা করে সাগরপাড়ে ফেলে দেয়।

আবিরের রংপুর তারাগঞ্জ এলাকার আজমলী আলীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। এর আগে নিহত আয়াতের দাদার বাসায় ভাড়া থাকতো ঘাতক আবির।

আয়াতের স্বজনরা জানান, আয়াতের নিখোঁজের পর ঘাতক আবিরও তাদের বাসায় এসেছিল। সে আয়াতের মা-বাবাকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেন। এমনকি আয়াতের খোঁজে আবির নিজেও বিভিন্ন স্থানে গিয়েছিল। যার কারণে সে সন্দেহের বাইরে ছিল।

আয়াতের স্বজনদের ঘাতক আবির জানিয়েছিল, নিখোঁজের দিন তার সঙ্গে আয়াতের দেখা হয়েছিল। তাকে আদর করে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আয়াতের স্বজনরা পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তাদের এ কথা জানালে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আবিরকে সন্দেহ করে পিবিআই।