২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:১২
শিরোনাম:

‘গায়েবি’ মামলা প্রত্যাহারে আইজিপির কাছে বিএনপি নেতারা

পুলিশের দায়ের করা ‘গায়েবি’ মামলা প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে চিঠি দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে সদর দপ্তরে যায়। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওই চিঠি দেওয়া হয়। এ সময় মামলার বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন তারা।

ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে বরকত উল্লাহ বুলু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে যে গায়েবি মামলা হচ্ছে, প্রতিনিয়ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন বোমা ফাটিয়ে আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে—এর একটি স্মারকলিপি মহাসচিবের তরফ থেকে আমরা আইজিপিকে প্রদান করেছি। উনি আমাদের প্রতিনিধিদলের সবার বক্তব্য শুনেছেন। বিভিন্ন জায়গায় গায়েবি মামলা করা হচ্ছে, নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে, গ্রেপ্তার করছে, বাড়িতে তল্লাশি করছে। আমরা এর প্রতিকার চেয়েছি। উনি বলেছেন, এগুলো খতিয়ে দেখবেন।’

গায়েবি মামলার চিত্র তুলে ধরে বিএনপি নেতা বুলু বলেন, ‘গতকাল হাইকোর্ট থেকে বিভিন্ন জায়গার সাড়ে ৪০০ নেতাকর্মী জামিন নেওয়ার পর হাইকোর্টের গেট থেকে ৫০ জনকে তাদের ল’ইয়ার্স সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলে গ্রেপ্তার করেছে। নরসিংদীতে একটা গায়েবি মামলা দিয়েছে। সেই মামলায় উল্লেখ আছে, চলো চলো, ঢাকায় চলো, বেগম খালেদা জিয়া জিন্দবাদ, তারেক রহমান জিন্দাবাদ বলে ৫-৬ ককটেল ফাটিয়েছে। এজন্য এই মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছি, আমি যদি আমার লোকজনকে ঢাকায় আসার জন্য দাওয়াত দেই, তাহলে আমি বোম ফাটাব কেন? তাহলে তো মানুষ আতঙ্কিত হবে তারা সমাবেশের আসবে না। এভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।’

মহাসচিবের চিঠির সঙ্গে ১৬৯টি গায়েবি মামলায় তালিকা দেওয়া হয়। গত ২২ আগস্ট থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত এসব মামলায় এজহারভুক্ত আসামির সংখ্যা ৬ হাজার ৭২৩ জন, অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ১৫ হাজার ৫০ জন এবং ৫৫৯ জনের গ্রেপ্তারের তালিকাও রয়েছে।

আজ বেলা ১টায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পুলিশের মহাপরিদর্শকের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। পুলিশ মহাপরিদর্শনের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।