২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:০২
শিরোনাম:

আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা, স্মার্ট জাতি গঠন করা।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ৩-দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, ভার্চু্যয়াল রিয়েলিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, রোবটিক্স, বিগ ডাটা প্রভৃতি ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে চাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাইজেশনের এক বিপ্লব ঘটে গেছে। এখন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন রচিত হচ্ছে। শিল্পাঞ্চলে ৫জি সেবা নিশ্চিত করা হবে। বিনিয়োগ ও রপ্তানি ক্ষেত্রে ডিজিটাল পণ্য অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি আশা করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটিই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার। এই কানেক্টিভিটির ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্মেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা করি। যার মূল প্রতিপাদ্য ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

টানা তিনবারের সরকার প্রধান বলেন, ২০১৮ সালে আমরা মহাশূন্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করি। এর মাধ্যমে ব্রডকাস্টিং থেকে শুরু করে টেলিযোগাযোগের সব খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আর বিদেশি স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভর করতে হয় না। অন্যদিকে স্যাটেলাইটের অব্যবহৃত তরঙ্গ ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে ৫৭তম স্যাটেলাইট পরিবারের গর্বিত সদস্য। গত বছর সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণায় ভয়াবহ বন্যা এবং ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং’র সময় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দ্রুততম সময় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার সাবমেরিন ক্যাবল-১ ও ২ স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তিন হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি অর্জন করেছে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি আরো তিন হাজার ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৭ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটিতে উন্নীত হবে।

তিনি জানান, সাবমেরিন ক্যাবল থেকে প্রাপ্ত ব্যান্ডউইথ সৌদি আরব, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া এবং ভারতে লিজ দিয়ে বাংলাদেশ ৪.৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ২০২৪ সালের মধ্যে স্থাপিত হবে। তখন ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পেয়ে ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস-এ উন্নীত হবে।