১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:২৬
শিরোনাম:

উপ-নির্বাচনে পাঁচ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি: ফখরুল

ছয়টি আসনের উপ-নির্বাচনকে তথাকথিত নির্বাচন দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই উপ-নির্বাচনে তাদের হিসাব অনুযায়ী ভোট দেওয়ার হার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আমাদের হিসাব মতে এটা ৫ শতাংশের বেশি না।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই যৌথসভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ পত্র-পত্রিকায় ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন একেবারে ২০১৪ সালের ‘কুত্তা মার্কা’ নির্বাচনের মতো। ভোটকেন্দ্রে কুকুর শুয়ে আছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে এই পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ সন্ত্রাস করে আন্দোলনকে দমন করার চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করবে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে গণতন্ত্রের যে কাঠামো সেটা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।

২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবেকে ফখরুল চিঠি দিয়েছিলেন—পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের এই মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো বহু লোককে চিঠি দিয়েছি, বহু দেশকে চিঠি দিয়েছি। অবশ্যই দিয়েছি। এটা তো অস্বীকার করিনি। দেশের চলমান যে শাসন ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে, দুর্নীতি-লুটপাটের মধ্যে দিয়ে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গুম করছে, খুন করছে, প্রতিমুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এগুলা আমরা সারা পৃথীবিকে জানিয়েছি।

ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে আন্দোলন চলমান রয়েছে তাকে নস্যাৎ করার জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যখনই কর্মসূচি দিচ্ছি তখন একই সময় তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে সেটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাসী ভাষা।