১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:২১
শিরোনাম:

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসেবে তার নাম চূড়ান্ত করেছেন।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম দাখিল করেন। পরে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন ওবায়দুল কাদের।

ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি (রোববার) বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কার্যালয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দল প্রার্থী না দেওয়ার কারণে একক প্রার্থী হওয়ায় এ পদে আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।

১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা, হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনা তদন্তে পরবর্তী সময়ে গঠিত কমিশনের প্রধান ছিলেন সাহাবুদ্দিন চুপ্‌পু।

তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মৃত্যুতে খালি থাকা প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র ‘নির্বাচনী কর্তা’র (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) কার্যালয়ে দাখিল করতে হবে। সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত ব্যক্তিই হবেন আগামী ৫ বছরের জন্য বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা।

আগামী ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে সংবিধান অনুযায়ী, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে শপথ না নেওয়া পর্যন্ত বর্তমান রাষ্ট্রপতি নিজ পদে বহাল থাকবেন।