১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৩৯
শিরোনাম:

রাজিবের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভিডিও নিয়ে যা বললেন প্রভা

২০০৫ সালের দিকে মেরিল সোপের একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শোবিজে প্রবেশ করেন সাদিয়া জাহান প্রভা। বিজ্ঞাপনের পর নাটকেও সফল হন তিনি। বেশ কয়েকবার তার সিনেমায় অভিনয়ের কথাও শোনা যায়। নিয়মিত না হলেও এখনও মাঝেমধ্যে টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় তাকে। নিউজ বাংলা

২০১০ সালের আগস্ট ১৯ আগস্ট চয়নিকা চৌধুরীর ‘পালিয়ে বিয়ে’ নাটকের শুটিং শেষে পর দিন অভিনেতা অপূর্বর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী প্রভা। কিন্ত তার আগেই তরুণ ব্যবসায়ী রাজিব হাসানের সঙ্গে তার বাগদান হয়। বিয়ের পর এই রাজিবের সঙ্গেই প্রভার কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে।

রাজিবের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর এক পর্যায়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায় প্রভা-অপূর্বর। এর পর পর্দার আড়ালে চলে যান প্রভা। এবার এ ব্যাপার ফেসবুকে সেইসব বিষয়ে কিছু তথ্য দিলেন তিনি।

প্রভা লিখেছেন, আমি কোনো প্রতারণা করি নাই! আমি চুপ করে থাকি বলে এই না যে, আপনারা আমাকে নিয়ে যা খুশি তাই বানিয়ে বলবেন। আমার শুধু মনে হচ্ছিল আপনাদের কাছে প্রমাণ করে কি লাভ উপরে যিনি আছেন, যার কাছে যাব, যিনি বিচারকারী তিনি জানলেই তো হয়।

বিয়ের আগেই সম্পর্ক করে যে গুনাহ আমি করেছি সেই গুনাহর জন্য জনতার কাছে আমি প্রতিনিয়ত মাফ চাচ্ছি মাফ চাইবো! কিন্তু যতদিন বেঁচে থাকব আপনাদের কাছ থেকে অনেক সোয়াব কামাবো! কারণ আপনারা না জেনে আমাকে গালি দেন। না বুঝে আমাকে একতরফা প্রতারক বানিয়ে দিয়েছেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, আর যেহেতু ধর্মীয়ভাবে অন্যায় করেছি, সোশ্যালি কোনো অন্যায় করিনি তাই ধর্মের নিয়মে বলছি, আমার এই ঘটনার পর আমার প্রাক্তন স্বামীর উচিত ছিল আমাকে আরো বেশি সাপোর্ট করা। মারাও যেতে পারতাম। শুধু আত্মহত্যা করলে কোনভাবেই সৃষ্টিকর্তার কাছে যেতে পারবো না, সেই ভয়ে আর আল্লাহর সাথে দেখা করার লোভে আত্মহত্যা করি নাই। তার জীবন সুন্দর হয়েছে।

রাজিবের সাথে আমার সম্পর্ক থাকাকালীন অবস্থায় যতবার ঝগড়া লেগেছে ততবারই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতো এবং আমাকে নিয়ে অনেক মিথ্যা বানিয়ে বানিয়ে বলতো। পরবর্তীতে আবার আমার সাথে সে ঠিক করতে চাইত। ও ক্রিমিনাল কিন্তু আমি অনেক বড় ছাগল ছিলাম। একটা মানুষ যখন সম্পর্ক টেকে না, সম্পর্ক টানাপোড়েন শুরু হয় তখন আমার ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে, তাহলে সেই মানুষটার কাছে কেন বারবার আমি ছুটে যাই। ভয় ছিল। বিশ্বাস করেন ভালোবাসা অনেক আগেই মরে গিয়েছিলো। ভয় ছিল ক্ষতির ভয়, যেটা সত্যিতে পরিণত হয়। আত্মহত্যা করিনি বলে আপনারা আমাকে প্রতিনিয়ত ইন্সপায়ার করেন, মেরে ফেলতে চান, না জেনে না বুঝে আমাকে বিভিন্নভাবে খারাপ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান।