১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:০৬
শিরোনাম:

আ. লীগ নেতাকে হাতুড়িপেটা করলেন ‘নিক্সন চৌধুরীর লোকজন’

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে কিবরিয়া মুন্সী (৪৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের শরীফাবাদ বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

আহত আওয়ামী লীগ নেতা কিবরিয়া মুন্সী ঘারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক। গুরুতর আহত অবস্থায় কিবরিয়াকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহত কিবরিয়া মুন্সী বলেন, ‘আগামী ৪ঠা মার্চ কাজী জাফরুল্লাহর কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে গতকাল ঘারুয়া বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রস্তুতিমূলক সভা ছিল। সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শরীফাবাদ সেতুর ওপর নিরু খলিফা ও তার বাহিনী আমাকে অটো থেকে নামিয়ে চাঁদা চেয়ে হাতুড়ি দিয়ে বেদম প্রহার করে। এতে আমার হাত পা ভেঙ্গে যায়।’

অভিযুক্ত নিরু খলিফা বলেন, ‘গতকাল ছিল যুবলীগের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে ভাঙ্গা স্টেডিয়ামে জনসভা। আমরা রাত পর্যন্ত ভাঙ্গায় জনসভায়স্থলে অবস্থান করছিলাম। এলাকায় কোনো লোক ছিল না। কিবরিয়া মুন্সী অটোতে বাড়ি যাচ্ছিল সেই অটোতে আমার ভাতিজা ছিল। রাস্তায় কে বা কাহারা কিবরিয়েকে লক্ষ্য করে বলেছে নিক্সন চৌধুরীর জনসভায় থেকে আসলা নাকি। এই কথার উত্তরে কিবরিয়া মুন্সী নিক্সন চৌধুরীকে গালিগালাজ করে। অটোতে থাকা আমার ভাতিজার সঙ্গে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তার জের ধরেই হাতাহাতি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিবরিয়ার সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা বা বিরোধ ছিল না। তার কথা মিথ্যা। আমি সেখানে ছিলাম না। আমি যুবলীগের ঘারুয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। আমি কখনো নৌকার বিরোধী না। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

ভাংগা থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা জানান, নিরু খলিফা চাঁদার দাবিতে কিবরিয়া মুন্সীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ ঘটনায় আজ থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।

এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, মারধরের ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।