১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:২১
শিরোনাম:

হিন্দি সিনেমা চালাতে না দিলে হল বন্ধের হুমকি প্রদর্শক সমিতির

আমদানির মাধ্যমে দেশে হিন্দি সিনেমা চালাতে না দিলে প্রেক্ষাগৃহগুলো বন্ধের হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি। শনিবার রাজধানীর মগবাজারে একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনের এই হুমকি দেন হল মালিকদের এ সংগঠনটির নেতারা।

হিন্দি সিনেমা আমদানির বিষয়ে সরকারের যথাযথ সিদ্ধান্তও চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা প্রশ্ন রেখে বলেন, হল যদি না চলে, হল যদি বন্ধ হয়ে যায় দেশের সিনেমা চালাবে কোথায়?

সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘হিন্দি সিনেমা না চালাতে দিলে এখন আর হল চালু রাখার উপায় দেখছি না। সিনেমা হল চালু রাখার আর কোনো বাস্তব যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না, বিধায় বন্ধ করে দেয়াই শ্রেয় বলে মনে করি।’

তিনি বলেন, “এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমাদের প্রতিনিধিদের সচিবালয় ডেকে বলেছিলেন, ‘পরিচালক ও শিল্পী সমিতির অনাপত্তি থাকলে সরকার বছরে অন্তত ১০টি উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেবে।’ চিত্রনায়ক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ‘সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ’র ব্যানারে প্রযোজক, পরিচালক এবং শিল্পী সমিতির নেতৃবৃন্দ বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানির ক্ষেত্রে অনাপত্তি জানিয়ে লিখিত প্রস্তাবনা তথ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেন। সব বাধা অপসারিত হওয়ার পরও আমদানির অনুমতি দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতা ‘না’ সূচক মনোভাবের পরিচায়ক।’’

সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লায়নস প্রেক্ষাগৃহের মালিক মির্জা আব্দুল খালেক দাবি করেন, ভবিষ্যতে বাংলা সিনেমা টিকিয়ে রাখতে বর্তমানে সিনেমা আমদানির বিকল্প নেই।

আব্দুল খালেক বলেন, ‘ঈদে বড় ছবি আসছে, ভালো ছবি আসছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, একটা ছবিও পুঁজি তুলে আনতে পারবে না। কারণ, পুঁজি তুলে আনার মতো জায়গা নাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি মনে করি, ২০ লাখ টাকা দিয়ে সিনেমা বানালেও সেই টাকা তুলে আনার মতো জায়গা নাই।’

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে দেশে হলের সংখ্যা জানিয়ে নেতারা বলেন, চার বছর আগেও সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ২৪০। এখন নিয়মিত চালু হলের সংখ্যা মাত্র ৪০ টি। দেশের সিনমা হল সব গোডাউন হয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি, ভালো সিনেমা তৈরি হচ্ছে না বলেই এসব হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

সরকার দাবি মেনে না নিলে কবে নাগাদ হল বন্ধ করা হবে; সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নর জবাবে নেতারা জানান, আগামী ঈদের আগেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহসাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, সংস্কৃতি সমাজ কল্যাণ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক আর এম ইউনুস রুবেল।